• ঢাকা
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো বন্ধে মাঠে নেমেছে শিবালয় পুলিশ


 শিবালয় (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি  জুন ৫, ২০২১, ০৮:০৩ পিএম
বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো বন্ধে মাঠে নেমেছে শিবালয় পুলিশ

মানিকগঞ্জ : শিবালয়ে মহাসড়কসহ বিভিন্ন সংযোগ রাস্তায় বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালকদের জন্য পথচারীরা মারাত্মকভাবে বিরক্ত হয়ে উঠেছেন। এ সকল মোটরসাইকেল চালকদের প্রতিরোধ ও সামাজিক অবক্ষয় রোধে এখন শিবালয়ে মাঠে রয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার (৪ জুন) বিকেলে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বোয়ালী ব্রিজের উপর থেকে মোটরবাইকসহ এমন ১৩ তরুণকে আটক করে পুলিশ।

জানা গেছে, গত কয়েক বছরের তুলনায় করোনাকালীন এ সময়ে শিবালয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় মোটরসাইকেলে ব্যবহার সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পয়েছে। যার মধ্যে নতুন ভার্সনের দ্রুতগতির মোটর সাইকেলের সংখ্যাই উল্লেখযোগ্য। আর এসব মোটরসাইকেল নিয়ে প্রতিদিন সড়কে নামছে বিভিন্ন বয়সী অদক্ষ তরুনেরা। যাদের মধ্যে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও বখাটেরাও রয়েছে। এরা মোটরযান আইনের কোন তোয়াক্কা না করে সড়ক-মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ফলে মোটরসাইকেল অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে। মোটরসাইকেল আরোহী বখাটে তরুনদের বেপরোয়া চলাচল ও মনোভাবে পথচারীরাও বিরÍ হচ্ছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালক ও বখাটে তরুণদের অত্যাচারে ঘরের বাইরে বের হওয়াটাই অনিরাপদ। এরা রাস্তায় মেয়েদের দেখলেই যেন দিশেহারা হয়ে উঠে। সকাল-বিকেল রাস্তায় হাটাতে গেলেও এদের বেপরোয়া চলাচলে আতঙ্কিত থাকতে হয়। কখন কে কার গাড়ে চেপে পরে। এছাড়া, মোটরসাইকেল নিয়ে কিছু-কিছু তরুনেরা দল বেঁধে প্রত্যহ বিকেলে বোয়ালী ব্রিজের রেলিংয়ের উপড় এমন ভাবে দাড়িয়ে থাকে। তাতে সাধারণ চলাচলে অনেকেই বাঁধাগ্রস্থ হয়। লজ্জার ভয়ে এদের কেউ কিছু না বলায় দিনে-দিনে এরা আরোও বেপরোয়া হয়ে উঠছে।

সম্প্রতি , মহাসড়কের পাটুরিয়া সংযোগ মোড়ে পুলিশের এক জন উর্দ্বত্বন কর্মকর্তার পার্কিংকৃত গাড়ীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা দেয় এক কিশোর বাইকার। মোটরসাইকেল ও পার্কিংকৃত গাড়ীর সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গেলেও বাইকার প্রাণে রক্ষা পায়।

শিবালয় মডেল ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, অহরহ সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারনে বেপরোয়া মোটরসাইকেল। যা এখন অনেক পরিবারের কাছে ‘প্রাণঘাতি’ ভয়ঙ্কর যান হিসেবে পরিচিত। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ইতোমধ্যে অনেক পরিবার থেকে হারিয়ে গেছে সম্বাবনাময় সতেজ প্রাণ। তার পরেও এলাকায় মোটরসাইকেলের সংখ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।

শিবালয় থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফিরোজ কবির জানান, বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালকদের আটকে থানায় রেখে অভিভাবকদের ডাকা হয়। রাতে অভিভাবকরা থানায় এসে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে মুচলেকা দেন। ভবিষ্যতে তাদের ছেলেরা রাস্তায় বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো ও অযথা বাহিরে আড্ডায় অংশ নেবে না এমন শর্তে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে, বখাটেদের রুখতে পুলিশে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!