পটুয়াখালী : পটুয়াখালীর একটি ঘটনো বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে পুরো বাংলাদেশে। বাউফলে বিয়ের এক দিন পর চেয়ারম্যানকে তালাক দিয়ে আলোচনার জন্ম দেয় সেই কিশোরী (১৪)। এবার তালাক দেওয়ার পর দিন প্রেমিক রমজানকে বিয়ে করেছে সেই কিশোরী।
রোববার (২৭ জুন) রমজান-এর মামাবাড়িতে সেই আগের কাজী ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরে বিয়ে পড়ান।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদারকে (৬০) তালাক দেয় কিশোরী।
জানা যায়, কনকদিয়া ইউনিয়নের নারায়নপাশা গ্রামের রমজান (২৫) নামের এক যুবকের সংগে এই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। কিন্তু এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি মেয়েটির পরিবার। পরে বিষয়টি নিয়ে কনকদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে জানান সেই মেয়ের বাবা। চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ বৈঠক ডাকেন। ওই বৈঠকে রমজানসহ ওই মেয়ের দুই পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে মেয়েকে দেখে পছন্দ হওয়ায় বিয়ের প্রস্তাব দেন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার। মেয়ের বাবা সম্মতি প্রকাশ করলে ওই দিন চেয়ারম্যান ওই মেয়েকে বিয়ে করেন। চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কনকদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের এমন আচরণে বিব্রত উপজেলা আওয়ামীলীগ।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, শাহীন হাওলাদার-এর এই বিবাহকাণ্ডে উপজেলার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ আমি নিজেও বিব্রত।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ
আপনার মতামত লিখুন :