• ঢাকা
  • শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১

কোরবানির পশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারিরা


 কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জুলাই ১০, ২০২১, ০৭:৪৮ পিএম
কোরবানির পশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারিরা

কুষ্টিয়া : আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় ২৯ হাজার গরু-ছাগল, মহিষ, প্রস্তুত করেছেন খামারিরা। উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় তালিকাভূক্ত ছোট-বড় মিলিয়ে কৃষক ও মৌসুমি ব্যবসায়ীসহ ৩ হাজার ৮ শ' ৮৭ খামারে এসব পশু পালন করা হয়েছে। চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে হাট বাজার বন্ধ থাকায় দুশ্চিন্তায় পশু পালন কারিরা ।

জানা গেছে, প্রতিবছর কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার কৃষক ও খামারিরা গরু, ছাগল ও ভেড়া মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত থাকেন। কোরবানী ঈদে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে গবাদি পশু ঢাকা, চট্টগ্রাম সহ দেশজুড়ে বিক্রি করেন খামারিরা ও প্রান্তিক কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। উপজেলায় এবার বাইরে থেকে কোন কোরবানির পশু কিনতে আসেনি ব্যাপারিরা।

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, দূর-দুরান্ত থেকেও ক্রেতারা এ উপজেলায় এসে স্থানীয় হাট-বাজার ছাড়াও খামার থেকে গরু কিনে নিয়ে যেত। গত বছর ভারত থেকে পশু কম আমদানি হওয়ায় দেশি গরুর চাহিদা ছিল ভাল। এ বছর কোরবানীকে সামনে রেখে দেশী গরু ও ছাগল মোটাতাজা করার শেষ পর্যায়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা।

সদকি ইউনিয়নের খামারি রণজিৎ কুমার বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে দাম ও বিক্রি নিয়ে অনেকটাই শঙ্কিত আমরা। তারপরেও পশুর হাট খুলে দিলে দেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসন কে অনুরোধ করছি।

খামারি ওয়াসিম বলেন, ঈদ কে সামনে রেখে গরু ,ছাগল নিয়ে বিপদে আছি । এই গরু ছাগল বিক্রি না হলে চরম ক্ষতির মুখে পড়বো।

উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৩ হাজার ৮ শ' ৮৭ টি গো-খামার রয়েছে। এবার এসব খামারে মোটাতাজা করা হয়েছে ২৯ হাজারের অধিক গরু, ছাগল। ষাঁড় আছে ১০ হাজার ৬ শ' ৯৩ টি, বলদ আছে ৫ হাজার ৫ শ' ৪ টি, ছাগল আছে ৭ হাজার ৫৯ টি এবং ভেড়া আছে ২৬৩ টি,কোরবানীর জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

এ উপজেলায় দেশী জাতের গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে ৯০ ভাগ। এ ছাড়া রেড চিটাগাং ক্যাটেল শাহিয়াল, ফ্রিজিয়ান ও জার্সি মিলিয়ে রয়েছে বাকি ১০ ভাগ।

কুমারখালী প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, উপজেলায় মোট ৪ টি পশু হাট আছে। লকডাউনের কারণে সব হাট বন্ধ রয়েছে। গরু মোটাতাজাকরণে সমৃদ্ধ উপজেলায় ৩০ ভাগ গরু গাবতলী, চট্টগ্রাম পশু হাটে বিক্রি হয় কিন্তু এবার,করোনা বিপর্যয়ের কারণে কোরবানীযোগ্য পশু অনলাইন ভিত্তিক বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে কোরবানির পশু কিছুটা কম বিক্রি হতে পারে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!