বগুড়া: বগুড়ার শাজাহানপুরে এক গৃহবধূকে (১৯) গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে শুক্রবার (১৬ জুলাই) দুপুরে থানায় মামলা করেছেন। ওই গৃহবধূর বাড়ি বগুড়ার শেরপুর এলাকায়।
এ ঘটনায় র্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্তসহ চারজনকে আটক করেছে।
আটকরা হলেন- শাজাহানপুর উপজেলার বি-ব্লক রহিমাবাদ এলাকার আলম মিয়ার ছেলে মূল অভিযুক্ত মো. গোলাম রাব্বী ওরফে রাব্বী হাসান (১৯), একই উপজেলার ফুলকোট গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে আব্দুল্লাহ (১৯), রহিমাবাদ এলাকার আব্দুল মান্নানের দুই ছেলে আরেফিন (২৫) ও নিশাত (২১)। তবে আরেক অভিযুক্ত ফিরোজ পলাতক রয়েছেন।
র্যাব জানায়, ছয় মাস আগে ফেসবুকে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের এক গৃহবধূর সঙ্গে গোলাম রাব্বী ওরফে রাব্বী হাসানের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্কের জের ধরে গত ১৩ জুলাই বিকেলে শাজাহানপুর উপজেলা বি-ব্লকে বন্ধু হিমেলের ফাঁকা বাড়িতে রাব্বী ওই গৃহবধূকে ফোনে ফুঁসলিয়ে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে রাব্বীসহ তার বন্ধুরা মিলে তাকে গণধর্ষণ করেন এবং মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে অনলাইন ছড়িয়ে দেন। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে।
ঘটনার পর থেকেই র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের গোয়েন্দা দল ও কয়েকটি আভিযানিক দল অপরাধীদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে উপজেলার বনানী বাইপাস এলাকা থেকে গোলাম রাব্বী ওরফে রাব্বী হাসানকে আটক করে। এবং রাব্বীর কাছ থেকে ধর্ষণের ভিডিও করা ও অনলাইন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ায় ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘটনা জানার পর আমরা ভিকটিমকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিলাম। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামি ও তার বখাটে বন্ধুরা ভিকটিমকে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে এবং ভিডিও ধারণ করে টাকা দাবি করেছে।
শাহাজাহানপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) নান্নু খান জানান, ফিরোজকে ধরতে আমাদের অভিযান চলছে। একটু আগে ঘটনার মূল অভিযুক্ত রাব্বীকে র্যাব আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আটক অন্য তিনজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সোনালীনিউজ/আইএ
আপনার মতামত লিখুন :