• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১

মিরসরাইয়ে চাহিদার দ্বিগুণ কুরবানির পশু প্রস্তুত


চট্টগ্রাম প্রতিনিধি জুলাই ১৭, ২০২১, ০১:০৩ পিএম
মিরসরাইয়ে চাহিদার দ্বিগুণ কুরবানির পশু প্রস্তুত

ছবি : কুরবানির পশু প্রস্তুত

চট্টগ্রাম: কয়েকদিন পরই পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদকে ঘিরে ইতিমধ্যে জমে উঠেছে মিরসরাই উপজেলার ছোট-বড় পশুর হাট। কুরবানিকে ঘিরে উপজেলায় সাড়ে তিনশ খামারে প্রস্তুত রয়েছে ৪৫ হাজার পশু। যা মিরসরাই উপজেলার কুরবানির পশুর চাহিদার দ্বিগুণ। উপজেলার পশুর চাহিদা রয়েছে ১৫-১৬ হাজার। সম্প্রতি সময়ে অসংখ্য বাণিজ্যিক পশুর খামার গড়ে উঠায় এবার দ্বিগুণ পশু প্রস্তুত। চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলাগুলোতে পাঠানো হবে পশু।
 
জানা যায়, প্রতিবছর কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার খামারি ও কৃষকরা গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ মোটাতাজা করণে ব্যস্ত থাকেন। দেশে গত দুই বছর ভারত থেকে কুরবানির হাটে পশু কম আমদানি করায় দেশী গরুর চাহিদা ছিল বেশি। খামারিরা ভালো লাভও পেয়েছিল। তাই এই বছরও কুরবানিকে সামনে রেখে দেশী গরু ও ছাগল মোটাতাজা করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার খামারি ও কৃষকরা। তবে এ বছরও ভারতীয় গরু না এলে বেশ লাভবান হবে এমনটাই আশা করছেন তারা। বিগত বছরগুলোর মতো এবারও গবাদিপশু লালনপাল নকারীরা ভালো দামের প্রত্যাশায় রয়েছেন। 

উপজেলার স্থায়ী ও অস্থায়ী ৩১ টি হাটে গবাদিপশু বেচাকেনা হয়। পশুর হাটের মধ্যে মিরসরাই বাজার, বড়তাকিয়া, মিঠাছরা, জোরারগঞ্জ, বারইয়ারহাট ও আবুতোরাব গরুর বাজার বড়। এসব বাজারে বিভিন্ন স্থান থেকে বেপারিরা এসেও গরু ক্রয় করে ফেনী, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে বিক্রয় করে। এছাড়া স্থানীয় বেপারিরা এলাকায় কৃষকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গরু ক্রয় করে তা বিভিন্ন বাজারে বিক্রয় করে। খামারি ছাড়াও উপজেলার সাধারণ কৃষকরা বাড়তি আয়ের জন্য বাড়িতে এক-দু’টি করে গরু মোটাতাজা করে। ঈদের সময় আকার ভেদে গত বছর প্রতিটি গরু ৪৫ হাজার থেকে পাঁচ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন এখানকার খামারি ও কৃষকরা। উপজেলায় ৫০ ভাগ গরু মোটাতাজা করছে খামারিরা। আর বাকি ৫০ ভাগ করছে কৃষকরা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতরের তথ্য মতে, মিরসরাই উপজেলায় ছোট-বড় ৩৫০ টি খামার রয়েছে। এসব খামারে এবার ৪৫ হাজার ষাড়, বলদ, গাভি, মহিষ, ছাগল, ভেড়া হৃষ্টপুষ্ট করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় গরুর সংখ্যা বেড়েছে। উপজেলায় রেড় চিটাগাং গরু সবচেয়ে বেশি মোটাতাজা করা হয়। এছাড়া শাহীওয়াল, ফ্রিজিয়ান, জার্সি ও দেশী গরু ও মোটাতাজা করা হয়।

মিরসরাই উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল চন্দ্র পোদ্দার বলেন, প্রায় দেড় বছর ধরে দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতিতে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পেশা পরিবর্তন করেছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ কৃষি ও পশুপালনে নিয়োজিত হয়েছেন। প্রাণী সম্পদ অফিস থেকে আগ্রহী ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ, করোনাকালীন প্রণোদনা ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হয়েছে। এই কারণে এবার মিরসরাইয়ে কুরবানির চাহিদার থেকে বেশি পশু প্রস্তুত হয়েছে।

সোনালীনিউজ/এসএন 

Wordbridge School
Link copied!