আশুলিয়া: আশুলিয়ায় জীম (১৩) নামের এক কিশোরের হাত ও পায়ের রগ কেটে দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা ওই কিশোরকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সোমবার (২ আগস্ট) দিবাগত রাত তিনটার দিকে আশুলিয়ার গাজীরচট চারালপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই কিশোর ধামরাইয়ের জালালের ছেলে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে সে একটি বাসের হেলপার হিসেবে কাজ করত। অভিযুক্তরা হলো- টিপু, টেক্কা মনির, রাব্বি, সুজন ও বাবু।
হাসপাতালের বেডে শুয়ে কিশোর জীম জানায়, কি কারণে আমাকে এই অবস্থা করল জানি না। তবে আমি যে বাসে হেলপারি করি ওই বাসের চালক লিটন ভাইয়ের সাথে ওদের সাথে আগেই ঝামেলা ছিল। আমরা রাতে গাড়ি গ্যারেজ করে হেটে গাজীরচটে বাসায় যাচ্ছিলাম। এসময় আনিস, টেক্কা মিনির, টিপু, সুজন সহ আরো কয়েকজন আমাদের উপর হামলা করে। এসময় লিটন ভাই দৌড়ে পালিয়ে যায়। আমাকে ধরে ফেলে এবং আমার হাত পায়ের রগ কেটে দেয়। এসময় আমি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়।
বাসের চালক লিটন জানায়, বেশ কিছুদিন আগে তিনি ও আরো কয়েকজন মিলে টিপু, টেক্কা মনির, রাব্বিকে মাদক বিক্রি করতে বাধা দিয়েছিলো। ওই সূত্র ধরেই গতকাল রাত ৩ টার দিকে বাস রেখে তিনি ও জীম বাসায় ফিরছিল। পথে রাম দাঁ, চাপাতিসহ দেশিয় অস্ত্র দিয়ে তাদের ধাওয়া করে টিপুবাহিনী। কিন্তু জিম দৌড়ে পালাতে গিয়ে পড়ে গেলে তার হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয় তারা। এসময় স্থানীরা জীমকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজের হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এবিষয়ে আশুলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সোনালীনিউজ/এআই/এসআই
আপনার মতামত লিখুন :