• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১

মাদকের জন্য ঘরের টিন খুলে কেজিদরে বিক্রি


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি অক্টোবর ১৩, ২০২১, ০৪:০৩ পিএম
মাদকের জন্য ঘরের টিন খুলে কেজিদরে বিক্রি

ছবি : ঘরের চাল ও বেড়ার টিন খুলে বিক্রি

টাঙ্গাইল : মাদকের টাকা জোগাড় করতে মাদকাসক্ত এক যুবক তার বাবার ঘরের চাল ও বেড়ার সব টিন খুলে বিক্রি করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এখন শুধু বাড়ির খুঁটি দাঁড়িয়ে আছে। মাদকাসক্ত যুবক মো. নাজিম (২৭) উপজেলা বাইমহাটি এলাকার মোহাম্মদ আলী নগরের বাসিন্দা।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, আবু সাইদের পাঁচ ছেলের মধ্যে নাজিম একজন। তিনি পেশায় ম্যাক্সিচালক। বেশ কয়েক বছর আগে বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে সে। তার নামে দুটি মামলায়ও রয়েছে।

আবু সাইদ বলেন, ‘ছয় মাস আগে ধারদেনা করে প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ করে রঙিন টিন দিয়ে ১৮ হাত ঘর নির্মাণ করি। এর মধ্যে সরকার থেকে দেওহাটা আশ্রয়ণ প্রকল্পে জমিসহ ঘর দিলে স্ত্রীসহ সেখানে গিয়ে উঠি। নাজিম তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে থেকে যায়। এরমধ্যে নাজিম মাদকের টাকা জোগাড় করতে ঘরের বেড়ার টিন খুলে বিক্রি করতে শুরু করে। তিন মাসের মধ্যে বেড়ার টিন তো বটেই ঘরের চালও শেষ হয়ে গেছে।’

নাজিমের চাচা আমজাদ হোসেন বলেন, ‘ঘরটি ৩৫ হাজার টাকা দাম হয়েছিল। কিন্তু ওর মা বিক্রি করেনি। এখন টিন খুলে বিক্রি করতে করতে সব শেষ হয়ে গেছে।’

পাশেই নাজিমের বড় ভাই সাইফুলের দুই চালা টিনের ঘর ছিল। তিনিও আশ্রয়ণ প্রকল্পে চলে গেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার ঘরের টিনও খুলে বিক্রি করেছে নাজিম। নিষেধ করায় আমাকে চাকু নিয়ে মারতে আসে।’

আরও পড়ুন - বৃদ্ধ বাবাকে লাথি মারলেন স্কুল শিক্ষক ছেলে

পাশের বাড়ির বাসিন্দা আব্দুল করিম বলেন, ‘সম্পূর্ণ ঘর এক সঙ্গে বিক্রি করলে টাকাগুলো দিয়ে কোনো কাজ করতে পারতেন নাজিম। কিন্তু তা না করে একটা একটা করে খুলে বিক্রি করে মাদক সেবন করেছে।’

নাজিমের বাবা সাইদ মিয়া বলেন, ‘বাধা দিলে ছেলে চাকু নিয়ে মারতে আসে। টিন খুলে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছে। বড় ছেলে সাইফুলের ঘরের টিনও একইভাবে বিক্রি করে ফেলেছে। থানায় একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’

আরও পড়ুন - একই উঠানে হচ্ছে নামাজ এবং পূজো

অভিযুক্ত নাজিম বলেন, ‘ঘরটি বিক্রি করে একটি অটোরিকশা কিনে দিতে বলেছিলাম। বাবা-মা রাজি হয়নি। টাকার প্রয়োজন হওয়ায় দুই একদিন পর পর এক দুই ফাইল খুলে বিক্রি করেছি।’

এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, ‘এ বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সোনালীনিউজ/এসএন

Wordbridge School
Link copied!