• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

চেক জালিয়াতিতে প্রতারক রিপনের জেল-জরিমানা 


মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি অক্টোবর ১৩, ২০২১, ০৪:৫০ পিএম
চেক জালিয়াতিতে প্রতারক রিপনের জেল-জরিমানা 

ছবি : প্রতারক আহসান হাবিব রিপন

মানিকগঞ্জ : চেক জালিয়াতির মামলায় আহসান হাবিব রিপন নামে এক প্রতারকের এক বছরের জেল ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। সেই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি থাকায় পুনরায় ওয়ারেন্ট জারি করা হয়।

মানিকগঞ্জ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক আফরোজা বেগম সাক্ষি-প্রমাণ ও শুনানি শেষে ৫ অক্টোবর এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আহসান হাবিব রিপন বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ছৈয়মতক্তা গ্রামের আব্দুল মান্নান হাওলাদারের ছেলে। তিনি ঢাকার হাজারীবাগ এলাকায় বসবাস করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, প্রতারক আহসান হাবিব রিপন একটি কাজ করে দেওয়ার কথা বলে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার স্কুল শিক্ষিকা শাহানা আক্তারের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নেন। দলিল হিসেবে তাকে ওই টাকার একটি চেক দেন। কাজ করতে ব্যর্থ হওয়ায় টাকা ফেরত চান শাহানা আক্তার। টাকা ফেরত না দিয়ে নানা টালবাহানা ও সময়ক্ষেপন করতে থাকেন রিপন। পরে তার দেওয়া চেকটি ব্যাংক থেকে ডিজঅনার করা হয়। এই পরিস্থিতিতে আহসান হাবিব রিপনের বিরুদ্ধে আদালতে চেক জালিয়াতির মামলা করেন স্কুল শিক্ষিকা শাহানা আক্তার।

দীর্ঘ শুনানি শেষে গত ৫ অক্টোবর মামলার রায় হয়। রায়ে আহসান হাবিব রিপনকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালতের বিচারক আফরোজা বেগম। সেই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি থাকায় পুনরায় ওয়ারেন্ট জারি করা হয়।

আরও পড়ুন -  ১৬তম জন্মদিনে ডিসি হলেন স্কুলছাত্রী রিমি

এই মামলা ছাড়াও আহসান হাবিব রিপনের বিরুদ্ধে বিয়ে সংক্রান্ত আরেকটি জালিয়াতি মামলা রয়েছে। এই মামলায় রিপনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে তদন্ত কর্মকর্তা। মামলাটি এখন আদালতে বিচারাধীন। দুটি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে ফেরারি জীবনযাপন করছেন তিনি। কোথাও তাকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ।

আরও পড়ুন - একই উঠানে হচ্ছে নামাজ এবং পূজো

মামলার বাদী স্কুল শিক্ষিকা শাহানা আক্তার বলেন, একটি কাজ করে দেওয়ার কথা বলে দুই লাখ টাকা নেন আহসান হাবিব রিপন। প্রমাণ হিসেবে ওই টাকার একটি চেক দেন তিনি। কাজ করতে ব্যর্থ হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে নানা টালবাহানা করতে থাকেন। পরে ব্যাংকে গিয়ে দেখি তার অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই। পরবর্তীতে চেক ডিজঅনার করে আদালতে মামলা করি। মামলায় ন্যায়বিচার পেয়েছেন বলে জানান তিনি।

সোনালীনিউজ/এসএন

Wordbridge School
Link copied!