• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১

১০০ টাকা কম দেওয়ায় ফি ছুঁড়ে মারলেন রোগীর মুখে


কুমিল্লা প্রতিনিধি অক্টোবর ১৮, ২০২১, ০৩:০০ পিএম
১০০ টাকা কম দেওয়ায় ফি ছুঁড়ে মারলেন রোগীর মুখে

ছবি : চিকিৎসা সিরাজুল ইসলাম মানিক

কুমিল্লা : জ্বর, কাঁশি নিয়ে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান ৬২ বছর বয়সী জমিলা খাতুন। দু’জন দালাল তাকে নিয়ে যান আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সিরাজুল ইসলাম মানিকের চেম্বারে। ব্যবস্থাপত্র দিয়ে টাকা চাইলে আচলে বেঁধে রাখা ২০০ টাকা দেন ওই নারী। এতেই ক্ষেপে যান আরএমও মানিক। ১০০ টাকা কম দেওয়ায় রোগীর মুখে তিনি ওই টাকা ছুঁড়ে মারেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।

রোববার (১৭ অক্টোবর) মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ভুক্তভোগী নারীকে চোখ মুছতে মুছতে বের হতে দেখা যায়। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ইউসুফনগর গ্রামের রহমান মিয়ার স্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘হুনছিলাম হাসপাতালে মাগনা (বিনা মূল্যে) চিকিৎসা দেয়। ওষুধ কিননের লাইগা ২০০ টাহা আনছিলাম কিন্তু তার লগের বেডায় কয় স্যারকে ভিজিট দেও। এই টাহাটা ডাক্তার মানিকে দেওনে হে বেডা টাহাডা আমার নাহে-মুহে ফালাইছে। ১০০ টাহা নাহি কম হইছে। পরে টাহাডা মাটিত্তে তুইল্লা আবার টেবিলের উপরে দিয়া আইছি। এহন ওষুধ কিন্নাম কী দিয়া।’

মুঠোফোনে আরএমও মানিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে টাকা ছুঁড়ে মারার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতালের আউটডোরে আসা রোগীদের দালাল দিয়ে নিজের চেম্বারে আনেন। সাত বছর একই স্টেশনে থেকে জামায়াতে ইসলামীর ফান্ডে টাকা দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে সিরাজুল ইসলাম মানিক বলেন, ‘আমি কোনো দলের ফান্ডে টাকা দেই না। এসব অভিযোগ মিথ্যা। রোগী কম পায় বলে দু-একজন ডাক্তার আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা রটায়।’

মুরাদনগর উপজেলা জামায়াতের আমীর আনম ইলিয়াস মুঠোফোনে বলেন, ‘ডা. সিরাজুল ইসলাম মানিক আমাদেরকে কোনো টাকা-পয়সা দেন না।’ এই বলেই ফোন কেটে দেন তিনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা নাজমুল আলম বলেন, ‘আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম মানিকের বিরুদ্ধে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আমি ব্যবস্থা নেব।’

সোনালীনিউজ/এসএন

Wordbridge School
Link copied!