ব্রাহ্মণবাড়িয়া : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার গেটে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশসহ কমপক্ষে আট জন আহত হয়েছেন। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নবীনগর উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নের লাপাং, নবীপুর ও পৌরসভার আলমনগর গ্রামের যুবকদের মধ্যে প্রেম সংক্রান্ত একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত কয়েক মাস ধরে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য পুলিশ দুই পক্ষকে ডেকে থানায় নিয়ে আসে। এরইমধ্যে খবর আসে এক যুবককে শ্রীরামপুর এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে নামিয়ে মারধর করা হচ্ছে। খবর পেয়ে তার মামা কাউছার মিয়া সেখান সভা থেকে বেরিয়ে আসছিলেন। এ সময় থানার গেটের সামনে আলমনগর গ্রামের রাজিব ও রবিনের সঙ্গে কাউছারের বাগবিতণ্ডা হয়। এরই জেরে দুইপক্ষের লোকজন থানার গেটেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ সময় দুই পক্ষের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে তিন পুলিশসহ আট জন আহত হন। আহতদের চিকিৎসার জন্য নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে তারা আবারও দ্বিতীয় দফায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
আহত পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন, নবীনগর থানার এসআই আব্দুল আজিজ, এসআই আশরাফুল ইসলাম ও এএসআই আব্দুল্লাহ আল মামুন। ছাড়া শাওন মিয়া (৩০), কাউছার মিয়া (৪৫), ছুবুর মিয়া (৩০), পাভেল মিয়া (৩৪) ও রাজিব (৩০) আহত হন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নবীনগর থানার ওসি আমিনুর রশিদ বলেন, ‘বেলা ১১টার দিকে নারী সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ নিয়ে এক লোক থানায় আসেন। এসআই মামুন থানার গোলঘরে বসে তার সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেখানে আরও কয়েকজন লোক ছিল। এ সময় কাউছার নামে এক ব্যক্তির কাছে ফোন আসে কে বা কারা তার ভাগিনাকে শ্রীরামপুর এলাকায় মারধর করছে। এমন খবরে আমরা সেখানে যাওয়ার জন্যে থানা থেকে বের হচ্ছিলাম। হঠাৎ থানা গেটের সামনে প্রতিপক্ষের সঙ্গে কাউছার মারামারিতে লিপ্ত হয়। এ সময় পুলিশসহ কয়েকজন আহত হন। পরে সেখান থেকে পুলিশ পাঁচ জনকে আটক করে। আহতদেরকে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সোনালীনিউজ/এমএস
আপনার মতামত লিখুন :