• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১

প্রেমের জেরে যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল


মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি জানুয়ারি ১২, ২০২২, ১০:৫৬ এএম
প্রেমের জেরে যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল

যুবককে গাছের সঙ্গে নির্যাতন

মুন্সিগঞ্জ: মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার চান্দেরচর গ্রামে প্রেমের জেরে সাইফুল ইসলাম রাজন (১৯) নামে এক যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন।

গুরুত্বর আহত অবস্থায় ওই যুবককে বর্তমানে রাজধানীর হলি ফ্যামিলি  হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এদিকে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এতে তৈরি হয়ে সমালোচনার ঝড়।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বালুচর ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মৃত মো. জয়নালের নাতনির সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয় সাইফুলের। সম্পর্কের তিন বছরের মাথায় তারা দুজনে পালিয়ে যায়। তখন বাধা হয়ে দাঁড়ায় মেয়ের পরিবার। সাইফুলের লেখাপড়া ও পরিবারিক অবস্থা ভালো না থাকায় আপত্তি ওঠে মেয়ের পরিবার থেকে। 

৮ জানুয়ারি এই যুবককে মোবাইল ফোনে ডেকে নেয় মেয়ের চাচা আলমগীর হোসেন। সাইফুল ওই বাড়িতে গেলে পরে গাছের সঙ্গে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। শত মানুষের সামনে দুই ঘন্টাব্যাপী এ নির্যাতন করা হয়। পরে এলাকাবাসী সিরাজদিখান থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে সাইফুল ইসলামকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।  

আহত সাইফুল ইসলামের নানা জজ মিয়া বলেন, আমার নাতীর অবস্থা বর্তমানে অত্যান্ত খারাপ। আমরা তাকে বাচানোর জন্য ঢাকা হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি করেছি। তারা আমার নাতীকে পরিকল্পিতভাবে ফোন করে তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে অমানবিকভাবে অত্যাচার নির্যাতন করেছে। তার দুটি পা ভেঙ্গে দিয়েছে। মাথায় আঘাত করে দুই স্থানে বড় বড় গর্ত করেছে। এছাড়া লাঠিসোটা দিয়ে মেরে শরীরে নিলাফোলা করা হয়েছে। দুদিন ধরে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে আমার নাতী। আলমগীরের নেতৃত্বে তার ভাই-ভাতিজারা মিলে একজন ছেলেকে হাতপা বেঁধে আছর নামাজ ওয়াক্ত থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মেরেছে। জানিনা আমার নাতীর ভাগ্যে কি আছে? আমি এর সঠিক বিচার চাই।

অভিযুক্ত মো.আলমগীর বলেন, গত দুই মাস আগে আমার ভাইয়ের মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে ভাতিজিকে উদ্ধার করে। ছেলেটি জেল হাজতে ছিল। এক সপ্তাহ আগে হাইকোর্ট থেকে জামিনে এসে আমাদের হুমকি দিয়েছে। শুক্রবার আমাদের বাড়িতে লোকজন কম ছিল। ভাতিজিকে আবারো উঠায় নিতে আসে সাইফুল। তখন আত্মীয়-স্বজনরা ধরে তাকে গণধোলাই দিছে।

সিরাজদিখান থানার  পরিদর্শক (তদন্ত) মো.আজগর হোসেন  বলেন, ছেলে আর মেয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছিল। ছেলেটি অপহরন মামলায় জেলে ছিল। উভয়ের বাড়ি একই এলাকায়। ছেলেকে মারধর করার বিষয়ে সাতজনকে আসামীকে করে থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চলছে।

সোনালীনিউজ/এমএস/এসআই

Wordbridge School
Link copied!