• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

মারধরের পর মরিচের গুঁড়া লাগিয়ে মা-মেয়েকে নির্যাতন


শেরপুর প্রতিনিধি জানুয়ারি ৩১, ২০২২, ১১:৩৬ এএম
মারধরের পর মরিচের গুঁড়া লাগিয়ে মা-মেয়েকে নির্যাতন

ছবি : সংগৃহীত

শেরপুর : পরকীয়ার অভিযোগ তুলে ৪৫ বছর বয়সী এক বিধবা ও তার মেয়েকে মারধরের পর গায়ে মরিচের গুঁড়া লাগিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। যদিও ওই নারীর দাবি, যার সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে, তার সঙ্গে বিয়ে পড়িয়েছেন এক মাওলানা। সেই ব্যক্তিও স্বীকার করেছেন ওই নারীকে বিয়ের কথা।

শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার দাওধারা-কাটাবাড়ি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

স্বজন ও প্রতিবেশীরা জানান, দাওধারা-কাটাবাড়ি গ্রামের আব্দুর রহিমের সঙ্গে ওই নারীর প্রয়াত স্বামীর বন্ধুত্ব ছিল। বন্ধুর মৃত্যুর পর রহিমের সঙ্গে ওই নারীর যোগাযোগ বেড়ে যায়। এ নিয়ে এর আগে একাধিকবার দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়াও হয়।

শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে ওই নারী ও তার নবম শ্রেণিপড়ুয়া মেয়ে বাড়িতে ছিলেন। এ সময় রহিমের স্ত্রী, তিন মেয়ে, পুত্রবধূ ও নাতি মিলে ওই নারীর বাড়িতে ঢোকেন এবং তাকে উপর্যুপরি মারধর শুরু করেন। মাকে বাঁচাতে গেলে তার মেয়েকেও মারধর করা হয়।

এ সময় ওই নারীর মাথার চুল টেনে ছিঁড়ে ফেলে তার গায়ে মরিচের গুঁড়া ঢেলে শরীরের বিভিন্ন অংশে মাখিয়ে দেওয়া হয়। এতে মা-মেয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে আশপাশের লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।

পরে সেই নারী হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান। বাড়ি যাওয়ার পর বেশি অসুস্থ বোধ করায় আবারও শনিবার (২৯ জানুয়ারি) হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ শোনা গেছে।

এদিকে ঘটনাটি শোনার পর রোববার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে থানা পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শেষ করে।

এ বিষয়ে আব্দুর রহিম বলেন, ‘ওই নারীকে পার্শ্ববর্তী হালুয়াঘাট উপজেলায় নিয়ে এক মাওলানার মাধ্যমে বিয়ে করেছি। তবে বিয়ে রেজিস্ট্রি করিনি। এখন আমি রেজিস্ট্রির মাধ্যমে তাকে বিয়ে করবো।’

তবে বিধবা নারী বলেন, ‘আমাকে শুধু এক মাওলানা দিয়ে বিয়ে পড়ানো হলেও সে সময় অন্য কোনো সাক্ষী রাখা হয়নি এবং রেজিস্ট্রিও করা হয়নি। এমন নির্যাতনের পর আমি রহিমকে বিয়ে করবো না।’

নির্যাতনের শিকার ওই নারীর মেয়ে এবং ছেলে আইনি সহায়তা চেয়ে হামলাকারীদের বিচার দাবি করেছেন। স্থানীয় নয়াবিল ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল বলেন, ঘটনা শুনে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগীর আবেদনসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোনালীনিউজ/এসএন

Wordbridge School
Link copied!