লক্ষ্মীপুর : অভাব-অনটন ও কাজের সন্ধানে বাড়ি থেকে বের হওয়ায় লক্ষ্মীপুরে নিখোঁজ হওয়ার ৩২ ঘণ্টা পর সেই ৪ কিশোরীকে অবশেষে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (৮ মে) রাত ৯টার দিকে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি জানান পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান।
এর আগে একই দিন সন্ধ্যায় জেলা কারাগারের পাশের একটি বাসায় (পুলিশ সদস্য) আশ্রিত থাকা অবস্থায় এক পুলিশ সদস্য তাদের (নিখোঁজ কিশোরীদের) পুলিশ হেফাজতে তুলে দেন বলে জানায় পুলিশ।
লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার ড.এইচ এম কামরুজ্জামান জানান, অভাব-অনটন ও কাজের সন্ধানে বাড়ি থেকে বের হয় চার কিশোরী। তারা কাজ করে পরিবারের আর্থিক অভাব-অনটন দূর করতে বাবা-মার অগোচরে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে একটি সিএনজি যোগে জেলা শহরের উত্তর তেমুহনীতে আসে তারা। এরপর নুরুল ইসলাম নামের এক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে আশ্রিত থাকেন তারা। তাদের অবস্থান পরিবারের সদস্যদের জানাতে নিষেধ করায় সন্দেহ হলে কৌশলে মুঠোফোনে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে বিষয়টি কমলনগর থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, অন্য কারও প্ররোচনা কিংবা তাদের কেউ অপহরণ করেনি। তারা স্বেচ্ছায় কাজের সন্ধানে বাড়ি ছাড়ে। তারপরও বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্ত করা হচ্ছে। চার কিশোরীকে তাদের পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন) পলাশ কান্তি নাথ, সহকারী পুলিশ সুপার মিমতানুর রহমান, ডিএসবির ওসি একেএম আজিজুর রহমান মিয়া ও কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সোলায়মান হোসেনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপস্থিত ছিলেন। তবে চার কিশোরী উদ্ধার হওয়ায় পরিবারের সবাই খুশি।
উল্লেখ্য, শনিবার (৭ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের বাদামতলী এলাকা থেকে সামিয়া আক্তার, জোবায়দা আক্তার, সিমু আক্তার ও মিতু আক্তার নামে (চাচাতো ও খালাতো বোন) চার কিশোরী একসঙ্গে সামিয়ার নানার বাড়ির (নোয়াখালী) উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর তাদের খোঁজ না পাওয়ায় নানী পরিচেয়ে আকলিমা নামের এক নারী কমলনগর থানায় নিখোঁজ হওয়ার সাধারণ ডায়েরি করেন। এনিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি ও পরিবারের মাঝে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ
আপনার মতামত লিখুন :