• ঢাকা
  • রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী, থানায় ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলা


মাগুরা প্রতিনিধি জুলাই ২৬, ২০২২, ১২:৫২ পিএম
দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী, থানায় ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলা

মাগুরা : মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সোমবার থানায় গিয়ে ব্যর্থ হয়ে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তিনজনের নামে মামলা করেছেন ওই স্কুলছাত্রীর বাবা।

আসামিরা হলেন- কালুখান্দী গ্রামের ইমারত মোল্যার ছেলে ও স্থানীয় একটি ইট ভাটার মালিক গোলাম রব্বানী (৪২), তাঁর সহযোগী কালু কান্দি গ্রামের আমজাদ মোল্যার ছেলে আছাদ (৩৫) এবং বাকি মোল্যার ছেলে আলমগীর (২৭)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গোলাম রব্বানী দীর্ঘদিন ধরে ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এমনকি বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু স্কুলছাত্রীর পরিবার এটি প্রত্যাখ্যান করায় রব্বানী তাকে জোর করে তুলে নেওয়ার হুমকি দেন। গত রোববার রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে আসে ওই ছাত্রী। এ সময় গোলাম রব্বানী, তাঁর সহযোগী আছাদ (৩৫) ও আলমগীরের (২৭) সহযোগিতায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই ছাত্রীকে স্থানীয় একটি ইট ভাটায় নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন তাঁরা। এদিকে মেয়েকে ঘরে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজতে বের হন। একপর্যায়ে বাড়ির নিকটবর্তী ওই ইট ভাটা থেকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁরা।

এদিকে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা জানান, গতকাল সোমবার মহম্মদপুর থানায় মামলা করতে যান তিনি। কিন্তু থানায় মামলা রুজু করতে টালবাহানা করায় ওই দিন দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। পরে আদালত সেটি এজাহার লিপিবদ্ধ করে সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ জানান, মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক প্রণয় কুমার দাশ অভিযোগ আমলে নিয়ে এটিকে এজাহার হিসেবে দলবদ্ধ করার জন্য মহম্মদপুর থানাকে আদেশ দেন।

থানায় মামলা না নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আশরাফুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ থানায় দিতে এসে কারও ফিরে যাওয়ার কথা আমার জানা নেই। রাতের আঁধারে এই ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগীরা হাসপাতাল থেকে আদালতে গিয়ে মামলা করেছেন।

আদালতের আদেশের বিষয়ে ওসি বলেন, আদালতের আদেশের কপি হাতে পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

সোনালীনিউজ/এনএন

Wordbridge School
Link copied!