Menu
কুষ্টিয়া: নিখোঁজের প্রায় ৪৩ ঘণ্টা পর গড়াই নদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. তানভীরের (২৩) মরদেহ ভেসে উঠেছে।
বুধবার (১৪ জুন) বেলা সোয়া ১১টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার গড়াই রেলসেতু এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
নিহত তানভীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফার্মেসি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি বরগুনা সদর থানার নলী চরকগাছিয়া গ্রামের মো. আব্দুল মালেকের ছেলে। তার বাবা বরগুনা সরকারি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।
কুমারখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পরিদর্শক মো. বখতিয়ার উদ্দিন মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি সোনালীনিউজকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সকাল ৭টা থেকে তারা তৃতীয়দিনের মতো উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। বেলা সোয়া ১১টার দিকে সেতু এলাকায় নিখোঁজ ছাত্রের মরদেহ ভেসে ওঠে। তারা উদ্ধার করে পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেছেন।
ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার একটি মাইক্রোবাস নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের ১৩ শিক্ষার্থী মেহেরপুর ও কুষ্টিয়ার বিভিন্ন দর্শনীয় এলাকায় ঘুরতে আসেন। তারা প্রথমে মেহেরপুরের মুজিবনগর, পরে কুমারখালীর শিলাইদহ রবীন্দ্র কুঠিবাড়ী ও লালন আখড়াবাড়ি ঘুরে দেখেন। এরপর আটজন গড়াই নদীর রেলসেতুর নিচে গোসল করতে নামেন।
বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাদের মধ্যে তিনজন সাঁতরে গড়াই নদী পার হওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় দুই বন্ধু ওপারের তীরে উঠতে সক্ষম হলেও তানভীর পানির স্রোতে তলিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে সেখানে কুমারখালী ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও খুলনার ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। প্রায় ৪৩ ঘণ্টা পরে বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে সেতু এলাকায় মরদেহটি ভেসে ওঠে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মরদেহটি উদ্ধার করেন।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোহসীন হোসাইন বলেন, নিখোঁজ ছাত্রের ভাসমান মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিষয়াদি পরে জানানো যাবে।
কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মণ্ডল বলেন, উদ্ধার অভিযান চলাকালে মরদেহটি ভেসে ওঠে। ওই ছাত্র সাঁতার জানতো না। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি দুর্ঘটনা।
সোনালীনিউজ/এম
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT