ঢাকা: গাজীপুর, খুলনা ও বরিশালের পর শেষ ধাপে সিলেট ও রাজশাহী সিটিতে ভোট হচ্ছে আগামীকাল বুধবার। আগের তিনটির মত এ দুই সিটি নির্বাচনেও ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-এভিএমে। কেন্দ্রে ভোট পরিস্থিতি এবারও সিসি ক্যামেরায় দেখবে কমিশন।
আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ কয়েকটি দল ভোটে অংশ নিলেও নেই বিএনপি। ‘অংশগ্রহণমূলক’ না হলেও গাজীপুর, বরিশাল ও খুলনা সিটির ভোট ছিল মোটামুটি শান্তিপূর্ণ। তবে ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম ছিল।
বরিশালে এক মেয়র প্রার্থীর উপর হামলার পর এবার সিলেট-রাজশাহীর ভোট বর্জন করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে কোনো চ্যালেঞ্জের মুখে না থাকলেও কমিশন বরাবরের মতো এবারও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
রাজশাহী ও সিলেটে ভোটের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার কথা জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান জানান, “প্রতিটি নির্বাচনই আমাদের কাছে সমান চ্যালেঞ্জের। প্রতিটি নির্বাচন থেকে অভিজ্ঞতা নিচ্ছি, সবার প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা করে যাচ্ছি। সিলেট, রাজশাহী সিটি নির্বাচন এখন আমাদের সামনে। এখানেও শতভাগ নিরপেক্ষভাবে সুষ্ঠুভাবে করতে সক্ষম হব। আমাদের মেয়াদের সবগুলো নির্বাচনই ভালোভাবে করেছি, আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে।”
তিনি জানান, ভোটের আগে, ভোটের দিন এবং পরে অনিয়ম, গোলযোগ ও সহিংসতা যাতে না ঘটে সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। আচরণবিধি প্রতিপালনে স্থানীয়ভাবে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
“আমাদের কাছে সব প্রার্থী সমান, সব দলও সমান। ভোটারদের নির্বিঘ্ন পরিবেশ তৈরিতে আমরা বদ্ধপরিকর,” বলেন এই নির্বাচন কমিশনার।
সিলেট মেয়র পদে প্রার্থী
আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (নৌকা)
জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল (লাঙ্গল)
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান (হাতপাখা)
জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম (গোলাপ ফুল)
স্বতন্ত্র মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু (ঘোড়া)
স্বতন্ত্র মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন (ক্রিকেট ব্যাট)
স্বতন্ত্র মো. শাহ জাহান মিয়া (বাস)।
স্বতন্ত্র মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা (হরিণ)
ভোট তথ্য
৪২টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৭২ জন। ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬০ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৭ জন, হিজড়া ৬ জন।
মোট ভোটকেন্দ্র ১৯০টি এবং ভোটকক্ষ ১ হাজার ৩৬৭টি।
ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা: প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জন এবং প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ জন।
আইন শৃঙ্খলা: পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ান আনসারের সমন্বয়ে মোবাইল ফোর্স ৪২টি, স্ট্রাইকিং ফোর্স ১৪টি, রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স ৬টি; র্যাবের ২২টি টিম এবং বিজিবি ১০ প্লাটুন।
নির্বাহী হাকিম ৫৯ জন ও বিচারিক হাকিম ১৪ জন। রিটার্নিং অফিসার সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদের।
রাজশাহী মেয়র পদে প্রার্থী
আওয়ামী লীগের এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা)
জাতীয় পার্টির মো. সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙ্গল)
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. মুরশিদ আলম (হাতপাখা)
জাকের পার্টির মো. লতিফ আনোয়ার (গোলাপ ফুল)
ভোট তথ্য
১০টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন এবং ৩০টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মোট ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন, হিজড়া ৬ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ১৫৫টি এবং ভোটকক্ষ ১১৫৩টি।
ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা: প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জন এবং প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ জন।
আইন শৃঙ্খলা: পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ান আনসারের সমন্বয়ে মোবাইল ফোর্স ৩০টি, স্ট্রাইকিং ফোর্স ১০টি, রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স ৬টি; র্যাবের ১৬টি টিম এবং বিজিবি ৭ প্লাটুন।
নির্বাহী হাকিম ৪৩ জন ও বিচারিক হাকিম ১০ জন। রিটার্নিং অফিসার রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।
সোনালীনিউজ/এআর