রাজবাড়ী : কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে রাজধানীসহ আশপাশের জেলাগুলোর হাটে গরু নিয়ে ছুটছেন ব্যবসায়ী ও খামারিরা। এজন্য রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার হচ্ছে পশুবাহী ট্রাক।
দৌলতদিয়া ঘাটে নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে জেলা পুলিশ। এছাড়াও ঘাটে কোন পশুবাহী ট্রাকে যাতে চাঁদাবাজি না হয় সেদিকে রয়েছে পুলিশের বাড়তি নজরদারি। এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এ রুট ব্যবহার করা পশুবাহী ট্রাক চালকরা।
দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে অতিরিক্ত টাকা ছাড়া ফেরির টিকিট কাটতে পেরে সন্তষ্ট ট্রাকচালক ও গরু ব্যবসায়ীরা। তারা ফেরি ঘাটে এসে কোনো রকম ভোগান্তি ছাড়াই দ্রুত ফেরিতে উঠতে পেরে খুশি।
সরেজমিন দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কোরবানির পশুবাহী ট্রাক ঘাটে আসা মাত্রই জিরো পয়েন্টে এসে স্বল্প সময় দাঁড়িয়ে থাকার পর ফেরিতে উঠছে।
এসময় কথা হয় পাংশা থেকে আসা চুন্নু মোল্লা নামের এক গরু ব্যবসায়ীর সঙ্গে। তিনি দেশ রূপান্তরকে জানান, প্রতি বছরই কোরবানির ঈদের আগে পশুবাহী ট্রাকগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপারের ব্যবস্থা করা হয়। এতে আমরা উপকৃত হচ্ছি, দুই বছর আগেও এমন ব্যবস্থা থাকলেও ঘাটে দীর্ঘ সময়ে আমাদের অপেক্ষা করতে হতো। সেতু হওয়ার পর দুর্ভোগ লাগব হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি'র দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন দেশ রূপান্তরকে বলেন, আমরা এই নৌরুটে কোরবানির পশুবাহী ট্রাক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করছি। ঘাটে এসে অপেক্ষা ছাড়াই তারা ফেরি পাচ্ছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, পশুবাহী ট্রাক যাতে ফেরি পারাপারে, ঘাটে ও মহাসড়কে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে সেজন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পশুবাহী ট্রাক থেকে কেউ যেনো অতিরিক্ত টোল অথবা ভাড়া নিতে না পারে সেজন্য প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি থাকবে। কেউ চাঁদাবাজি করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
সোনালীনিউজ/এমটিআই