কক্সবাজার : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড পর্যটন নগরী কক্সবাজার। ঝড়ে উড়ে গেছে গাছপালাসহ কাঁচা ও আধা পাকা ঘরবাড়ি, উপড়ে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। গাছ ও দেয়াল চাপায় প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাত ১২টা পর্যন্ত ঝড়ে আহত ২৫ জনকে সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড় হামুনের অগ্রভাগ কক্সবাজারের কুতুবদিয়া এলাকা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করা শুরু করে। একই সঙ্গে শুরু হয় বজ্রসহ বৃষ্টি। আর মুহূর্তেই যেন শহর ও আশপাশ অঞ্চলে বিভীষিকা নেমে আসে।
ঝড়ের সময় উপড়ে পড়া গাছের নিচে চাপা পড়ে অনেক পথচারী এবং গাড়িচালক আহত হয়েছেন। বিপাকে পড়েছেন বিপুলসংখ্যক পর্যটক। মোবাইল ফোনে চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই যোগাযোগ করতে পারছেন না স্বজনদের সঙ্গে।
ঝড় ও বৃষ্টিতে ধসে পড়া দেয়াল ও গাছ চাপায় তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তারা হলেন- কক্সবাজার শহরে দেয়াল চাপায় আবদুল খালেক মারা যান।
মঙ্গলবার রাত ৯টায় শহরের পাহাড়তলীর জিয়া নগর এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। চকরিয়ার বদরখালী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে গাছ পড়ে আসকর আলী নামে একজন প্রাণ হারিয়েছেন। তিনি বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির সদস্য ছিলেন।
এছাড়া মহেশখালীর বড় কুলালপাড়ায় একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে তার পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় হামুন উপকূলে আঘাত হানার পর দুর্বল হয়ে পড়ায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে সংকেত কমিয়ে দিতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দিবাগেত রাত সোয়া ১টায় আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের স্বাক্ষরে ঘূর্ণিঝড় হামুনের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় হামুন রাত ১টায় বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করেছে।
এমটিআই