কুড়িগ্রাম: আমন ও বোরো ধান চাষের মাঝামাঝি অল্প সময়ে স্বল্প খরচে সরিষা চাষ করে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার বাড়তি ফসল হিসেবে সরিষা চাষে ব্যস্থ সময় পাড় করছেন কৃষকরা।
সরকারের প্রণোদনার বীজ ও সার দিয়ে জমিতে রোপণ করা সরিষা চাষ করেছেন এক মাস পরে কৃষকের ঘরে উঠতে শুরু করবে সরিষা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফলনও আশানুরুপ হবে বলে জানিছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ।
কৃষি অফিসের সূত্রে জানা যায় এ বছর উপজেলায় সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৬’শ ৯ হেক্টর জমিতে।
তবে লক্ষ্যমাত্র অনুযায়ী অর্জিত হয়ছে ১ হাজার ৬ শ ১০ হেক্টর জমিতে। কৃষি বিভাগ থেকে বারী ১৪, ১৫, ১৭ এই তিন জাতের বীজ বিনা মুল্যে দেওয়া হয়েছে কৃষকদের।
সরিষা চাষি উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের পাত্রখাতা এলাকার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, আমন ধান কাটার প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বারী-১৪ উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষা চাষ করেছি, এবারে প্রায় ৪ থেকে ৫ মণ সরিষা ফলন হবে, যার মন প্রতি বাজার মূল্য প্রায় ১২ হাজার টাকা আসবে। সরিষার ঘরে তুলে একই জমিতে বোরো ধান রোপন করতে পারবো।
রমনা মডেল ইউনিয়নের পাত্রখাতা এলাকার কৃষক আবদুল আজিজ বলেন, আমন ও বোরো ধানের মাঝামাঝি অল্প সময়ের মধ্যে সরিষা চাষ করা হয়, এতে করে একই জমিতে তিনটি ফসল ঘরে উঠে এবং বাড়তি আয়ের মুখ দেখা যায়। আমার ১৫ শতাংশ জমিতে সরিষা চাষ করেছি। এই অল্প সময়ে সরিষা চাষে বাড়তি আয় করতে পারবো।
কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. কবিরুল ইসলাম জানান, গত বছরের তুলনায় এবার সরিষা চাষের প্রতি কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। আমরা সরকারের নির্দেশনায় প্রতিনিয়ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছি এবার সরিষার চাষের ফলন ভালো হবে বলে আশা করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুমার প্রণয় বিষাণ দাস বলেন, এই বছর ১ হাজার ৬’শ ০৯ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে যার মধ্যে অর্জিত হয়েছে ১ হাজার ৬’শ ১০ হেক্টর জমিতে। বর্তমানে দেশে ভোজ্য তেলের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় সরিষার চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা কৃষি অফিস থেকে ২ হাজার ১’শ কৃষকের মাঝে প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ করেছি। আশা করছি এবার সরিষার ফলন ভালো হবে এবং কৃষকরা লাভের মুখ দেখবে। আগামীতে উপজেলায় সরিষা চাষে আরো বৃদ্ধি পাবে।
সোনালীনিউজ/এম/এসআই