ঝালকাঠি : যুদ্ধাপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এবং পরবর্তীতে মৃত্যুবরণকারী মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষী দেননি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএমএ আউয়াল।
সোমবার (১ জানুয়ারি) পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে এক নির্বাচনি জনসভায় একথা বলেন একেএম আউয়ালের আপন মেঝ ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পিরোজপুর পৌরসভার মেয়র মো. হাবিবুর রহমান মালেক। মঙ্গলবার দেওয়া এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
হাবিবুর রহমান মালেক বলেন, ‘একেএমএ আউয়াল সাঈদীর মামলার সাক্ষী ছিল কিন্তু সাক্ষী দেয়নি। বালিপাড়ায় গোপনে গোপনে কিছু লোক আছে তারা কয় সাঈদীর মামলায় সাক্ষী দেছে। আপনাদেরক ভুল বুঝাতে পারে যে সাঈদীর জেল হবার কারণ আউয়াল সাহেবের সাক্ষী। বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি আউয়াল সাহেব সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষী দেয়নি। ’
তিনি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট শম রেজাউল করিমের নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে তিনি ওকালতি করেছেন। আর আমার ভাই যখন এমপি তখন সাঈদী সাহেবের ছেলে উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছে।
পৌর মেয়র আরও বলেন, ‘সাঈদী সাহেবের বাবা ইউসুফ মৌলভীকে আমরা ‘নানা’ বলে ডাকতাম। সাঈদী সাহেব বা তার পরিবারের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নাই। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আউয়াল সাহেব যখন এমপি তখন সাঈদীর ছেলে (মাসুদ সাঈদী) উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছে আমরা বাধা দেয়নি। ’
এসময় তিনি রেজাউল করিমের সমালোচনা করে এবং সাঈদীর প্রশংসা করে ঈগল প্রতীকের প্রার্থী তার ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়ালের পক্ষে ভোট চান।
এমটিআই