• ঢাকা
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

ভোর থেকে মর্টার শেল ও গুলির শব্দ, টেকনাফে আতঙ্ক


কক্সবাজার প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪, ১০:৩৩ এএম
ভোর থেকে মর্টার শেল ও গুলির শব্দ, টেকনাফে আতঙ্ক

ফাইল ছবি

কক্সবাজার: কক্সবাজারের টেকনাফ হোয়ইক্ষ্যং উনছিপ্রাং সীমান্তে শনিবার (১০ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরের গোলাগুলি আর মর্টার শেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দ থেমে থেমে শোনা যাচ্ছে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে বিরাজ করছে।

উনছিপ্রাং সীমান্তের স্থানীয়দের দাবি, ওপারে ঢেঁকিবুনিয়া এলাকায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ঘাঁটিগুলো দখল করার পর আরাকান আর্মি ও অন্যান্য বিদ্রোহীরা টেকনাফ অংশে মিয়ানমারের শহর শীলখালী, বলিবাজার ও কুইরখালী দখল নিতে এই হামলা করছে।

উনছিপ্রাং এলাকায় বাসিন্দা দিলদার বলেন, আমার চিংড়ি ঘের সাতদিন্না থেকে মিয়ানমারের শহর কুমিরখালীর দূরত্ব ৪শ মিটার। ওই শহরে কি হয় সেটি খালি চোখে অনেকটা দেখা যায়। আজ সকাল থেকে কুমিরখালীর ঘাঁটি দখল নিতে বিদ্রোহীরা  হামলা করছে। মর্টার শেলের বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ও আগুনের ফুলকিও দেখা যায়। বোমা যখন বিস্ফোরণ হয় তখন ভূমিকম্পের মতো অনুভূত হয়। এখানো চলমান আছে।

উনছিপ্রাং ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রশিদ আহমদ বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলি আর মর্টার শেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দ এখনো ভেসে আসছে। সীমান্তের কাছাকাছি যারা চিংড়ি চাষিদের নিরাপদ স্থানে আসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

হোয়াইক্ষং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আনোয়ারী বলেন, সকাল থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলা গৃহযুদ্ধের গুলাগুলির বিকট শব্দ শুনা যাচ্ছে। স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। হয়তো উনছিপ্রাং সীমান্তের কাছাকাছি মিয়ানমারের শহর  কুমিরখালী দখল নিতে এই হামলা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত গুলাগুলি হয়েছিল। দিনে কিছুটা শান্ত ছিল। আজ শনিবার সকাল থেকে নতুন করে আবারো গুলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। 

প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি), মিয়ানমার সেনাবাহিনী, পুলিশ, ইমিগ্রেশন সদস্য ও অন্যান্য সংস্থার ৩ শতাধিক সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদের সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয় দিয়েছে এবং আহতদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে।

সোনালীনিউজ/এসআই

Wordbridge School
Link copied!