কক্সবাজার: আভ্যন্তরীণ সংঘাতের জেরে বাংলাদেশে ঢুকে পড়া মিয়ানমারের সেনা, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য, শুল্ক কর্মকর্তাসহ ৩৩০ জনকে ফেরত পাঠানো প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ভোরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যমছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত ও টেকনাফের হ্নীলা থেকে বিজিবির কড়া পাহারায় কক্সবাজারের ইনানী নৌ-বাহিনীর জেটিঘাটে নিয়ে আনা হয়।
এখানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার বিষয়ক পরিচালক মো. রাকিবুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব মো. রাশেদ হোসেন চৌধুরী, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী এবং মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতসহ কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত রয়েছেন।
বিজিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বিজিবির সার্বিক তত্ত্বাবধানে তাদের মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে মিয়ানমারের নৌ বাহিনীর একটি জাহাজ বাংলাদেশের সীমানায় এসে গভীর সাগরে অবস্থান নেয়। পালিয়ে আসা বিজিপি সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ইনানী জেটিঘাট থেকে ওই জাহাজে নিয়ে গিয়ে হস্তান্তর করা হবে।
গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তের ওপারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সংঘর্ষ শুরু হয়। যুদ্ধের মধ্যে বিদ্রোহীরা বিজিপির কয়েকটি সীমান্ত ফাঁড়ি দখল করে নিলে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা ৪ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করে। এসময় তাদের নিরস্ত্র করে বিজিবি হেফাজতে রাখা হয় ঘুমধুমের একটি স্কুলে। পরে তাদের মধ্যে ১০০ জনকে সরিয়ে নেয়া হয় টেকনাফে।
এর মধ্যেই তাদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশের তরফ থেকে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়।
সোনালীনিউজ/এন/এসআই
আপনার মতামত লিখুন :