কক্সবাজার : সাম্প্রতিক দিনগুলোতে প্রায় ২০০ মিয়ানমার নাগরিককে সীমান্ত থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন করে কাউকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে চলছে তুমুল লড়াই। এমন পরিস্থিতিতে রাখাইন রাজ্যের অনেক বাসিন্দা সীমান্তের নাফ নদীতে ছোট ছোট নৌকায় আশ্রয় নিয়েছেন। এতে নতুন করে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার কোস্টগার্ডের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট তাহসিন রহমান বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে বয়ে যাওয়া নদীটিতে মিয়ানমারের কতজন নাগরিক আছেন তা জানা যায়নি। তবে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে প্রায় ২০০ মিয়ানমার নাগরিককে সীমান্ত থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন করে কাউকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
জানা গেছে, মিয়ানমারের লালবুনিয়া এলাকায় ৪০০ থেকে ৫০০ রোহিঙ্গা তাদের বাড়িঘর থেকে পালিয়ে নৌকায় আশ্রয় নিয়েছে। এদের অনেকেই কক্সবাজার ক্যাম্পে থাকা স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
এদিকে সীমান্তের ওপারের গুলি ও গোলাগুলির শব্দ টেকনাফ শহর, শাহপরীর দ্বীপ, সাবরাং ও সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে শোনা গেছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত সাবরাং থেকে মাঝেমধ্যেই গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে এবং শাহপরীর দ্বীপের লোকজন হেলিকপ্টার থেকে সেনাদের গুলি ছুড়তে দেখেছেন। এছাড়া উত্তর রাখাইনের মংডু শহরে এখন তীব্র লড়াই চলছে বলে জানা গেছে। শহরটিতে অনেক রোহিঙ্গার বসবাস। এতে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এমটিআই