Menu
ছবি : প্রতিনিধি
গাজীপুর: দেশের বৃহত্তর শিল্প সমৃদ্ধ জেলা গাজীপুরে বিভিন্ন ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠান ও মিল কারখানায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারির) সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি সমন্বয় করে টানা তিন দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে সংশ্লিষ্ট কারখানার কর্তৃপক্ষ।
এজন্য টানা ৩ দিনের ছুটি পেয়ে এ শিল্পাঞ্চলের শত-শত শিল্প কারখানার হাজার-হাজার শ্রমিকরা তাদের গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্য গাজীপুরের ট্রানজিট পয়েন্ট খ্যাত ভোগরা বাইপাস, গাজীপুর চৌরাস্তা ও চন্দ্রা চৌরাস্তা এলাকায় বুধবার ভোর সকাল থেকেই গণপরিবহনে জন্য ভিড় জমাচ্ছে।
বুধবার বেলা ১১ টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গাজীপুর চৌরাস্তা ও চন্দ্রা চৌরাস্তা এলাকায় বিপুল সংখ্যক যাত্রীদের জন্য গণপরিবহন অপ্রতুল থাকায় ব্যাপক ভাড়া নৈরাজ্য করছে দূরপাল্লাসহ গাজীপুর জেলার মধ্যে চলা বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট গণপরিবহন গুলো। যাত্রীরা অভিযোগ করে জানিয়েছেন, হাজার হাজার যাত্রীর সমাগম দেখে চৌরাস্তা এলাকায় পরিবহন চালক ও মালিকরা যাত্রীদের সঙ্গে ব্যাপক ভাড়া নৈরাজ্য শুরু করেছে। গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে মাওনা চৌরাস্তা পর্যন্ত এক জনের ভাড়া গতকাল পর্যন্ত ভাড়া ছিলো ৫০ টাকা। আজ বুধবার সকাল থেকেই পরিবহন চালক ও কনট্রাকটাররা এ ভাড়া বাড়িয়ে জন প্রতি রাখছেন ৮০ থেকে ১০০ টাকা।
এছাড়া চন্দ্রা চৌরাস্তা এলাকায় দূরপাল্লা বাস গুলোর পরিবহন ভাড়া আরও বেশি করে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চন্দ্রা থেকে উওর বঙ্গ গামী ছেড়ে যাওয়া সকল গণপরিবহনে আগের বাড়ার চেয়ে কম পক্ষে ৩০০/৪০০ টাকা বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। এক দিকে গণপরিবহনের অপ্রতুলতা। অপর দিকে ভাড়া নৈরাজ্য এই দুই চাপে পড়ে চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে পড়ছে গাজীপুরের হাজার-হাজার যাত্রীরা।
চৌরাস্তা থেকে মাওনা অভিমুখী যাওয়া এক যাত্রী ইয়ামিন মোল্লা বলেন, তিনি প্রতি দিনই গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় যাতায়াত করছেন। এ সময়ে তিনি ৫০ টাকা করে ভাড়া দিলেও আজ হঠাৎ করে ৮০ টাকা করে ভাড়া দিতে হচ্ছে। যদি এর কম দিতে চাই তাহলে হেলপাররা বলছে ফাকে পড়েন। গাড়ি সংকট তাই বাধ্য হয়েই বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে।এ দিকে চন্দ্রা এলাকায় রংপুরের পথে যাওয়া মাজেদুর রহমান বলেন, আমরা আজ নিরুপায় ও অসহায় হয়ে পড়েছি বাস মালিকদের কাছে। তিনি বলেন, আজ মনে হচ্ছে ঈদের সময় তাই ঈদের ছুটির সময়ের মতো বাড়তি ৩০০/৪০০ টাকা ভাড়া দিতে হচ্ছে। এসব দেখে মনে হচ্ছে পুলিশ সব মারা গেছে। তাই কেউ দেখছেনা নৈরাজ্য। তাকওয়া পরিবহনের হেলপার রাজু বলেন, আজকে যাত্রী বেশি। সেই তুলনায় গাড়ি কম থাকায় এজন্য একটু ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে।
সোনালীনিউজ/এমএস/এসআই
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT