• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২ পৌষ ১৪৩১

সীমান্তের শূন্যরেখায় দুই বাংলার মিলনমেলা


বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪, ০৭:৪২ পিএম
সীমান্তের শূন্যরেখায় দুই বাংলার মিলনমেলা

বেনাপোল: প্রতিবছরের মতো এবারও যশোরের বেনাপোল সীমান্তে ভাষাশহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দুই দেশের বাংলাভাষীরা। আজ বুধবার সকাল থেকে দুই বাংলার কবি-সাহিত্যিক-শিল্পী ও রাজনীতিবিদদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে ভারতের পেট্রাপোল ও বাংলাদেশের বেনাপোলের শূন্যরেখা।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় সীমান্তের শূন্যরেখায় বাংলাদেশের পক্ষে যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) শেখ আফিল উদ্দীনের নেতৃত্বে ২০ জন ও ভারতের পক্ষে চব্বিশ পরগনার বিধায়ক নারায়দণ গোস্বামীর নেতৃত্বে ২০ জন শহিদদের শ্রদ্ধা জানান। শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে এ সময় সীমান্তে মিলনমেলায় রূপ নেয়।

ভারতের প্রতিনিধিদলের প্রধান চব্বিশ পরগনার বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী বলেন, মাতৃভাষারক্ষার যেকোনো সংকট মোকাবিলায় আগামীতে দুই দেশ এক থাকবে। দুই বাংলার এ আয়োজন পরস্পরের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বাড়াবে। 

এমপি শেখ আফিল উদ্দীন বলেন, ‘ভাষার জন্য জীবন ত্যাগের ইতিহাস একমাত্র বাঙালির। আজকের দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্ব স্বীকৃতি দিয়েছে। এ জন্য বাঙালি ও বাংলাদেশি হিসেবে আমরা গর্ববোধ করি। শূন্যরেখায় দুই বাংলার ২১ উদ্‌যাপন নতুন প্রজন্মকে ভাষার প্রতি আরও শ্রদ্ধাশীল হতে ভূমিকা রাখবে।’

শূন্যরেখায় ফুল দিতে আসা ভারতের নাগরিক নদ্দিতা বিশ্বাস বলেন, ভাষার টানে শূন্যরেখায় বারবার ছুটে আসি।’

বেনাপোল সরগম সংগীত একাডেমির সভাপতি মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম বলেন, ‘২০০২ সালে প্রথম বেনাপোলের সরগম সংগীত একাডেমি ও ভারতের চব্বিশ পরগনার ২১ উদ্‌যাপন কমিটির আয়োজনে যৌথ মাতৃভাষা দিবস পালন শুরু হয় শূন্যরেখায়। আর ২০১২ সাল থেকে সরকারিভাবে এ দিবসটি পালন করে আসছে বেনাপোল ও বঁনগা পৌরসভা।’ 

এমএস

Wordbridge School
Link copied!