বরগুনা: বরগুনার আমতলীতে ঋতুরাজ বসন্তের আগমনের সাথে সাথে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে সোনালী রঙের আমের মুকুল। এলাকার ছোট-বড় প্রায় সকল গাছে ঝুলছে থোকা থোকা আমের মুকুল এতে বেড়েছে ভ্রমরের আনাগোনা। মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত হয়ে উঠেছে এলাকার আকাশ বাতাস।
আমতলী উপজেলার গ্রামগুলো ঘুরে দেখা যায়, বাড়ির আঙিনা পুকুরপাড় বাগানসহ সকল আম গাছ মুকুলে ঝেঁকে পড়েছে। স্থানীয় দেশি জাতসহ হিমসাগর, গোবিন্দ ভোগ, অম্রপালি, ফজলি, লতাই, ন্যাংড়াসহ নানা জাতের আম গাছে এসেছে পর্যাপ্ত মুকুল। মুকুল আসলে অনেকেই গাছে স্প্রে করার জন্য ভ্রাম্যমাণ স্প্রের অপেক্ষায় আছে, কেউ কেউ নিজ উদ্যোগে স্প্রে করে থাকেন।
আমতলীতে বিভিন্ন নার্সারিতে কথা বলে জানা গেছে, মুকুল আসার সাথে সাথে সকালে পানি স্প্রে করতে হয় ও হালকা কীটনাশক স্প্রে করা দরকার। কুয়াশা বেশি হলে আমের মুকুল পুড়ে যায়। মুকুল থেকে গুটি ধরার পরে গাছে পিঁপড়া লাগতে পারে। পিঁপড়া আমের গুটির ক্ষতিসাধন করে। তবে এ বছর কুয়াশা কিছুটা কম থাকায় আমের ফলন ভালো ও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই ব্যাপারে আম চাষী তৌফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা আশা করি এবার আমের বাম্পার ফলন হবে, আমাদের আম দেশের বিভিন্ন শহরে চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। আরো বলেন, এই বছর মুকুল আসার মুহুর্তে বৃষ্টি না হওয়ায় মুকুল তাপে পুড়ে যাওয়ায় সম্ভাবনা আছে। তবে আশা করছি গত বছরের চেয়ে এ বছর আমের বাম্পার ফলন হবে।
আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ ঈসা জানান, এ উপজেলায় ১১০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়। অধিকাংশ গাছে আমের মুকুল বেরিয়েছে। কৃষকদের কুয়াশা ও পোকা-মাকোড় থেকে গুটি রক্ষায় আম চাষী ও বাগান মালিকদের ছত্রাক নাশক প্রয়োগসহ নানা পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। বাণিজ্যিক ভাবে আমের চাষ শুরু হয়েছে, এখানকার আম দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিদেশও রপ্তানি হচ্ছে, এবার আবহাওয়া অনুকূল থাকায় আম গাছে আগাম মুকুল এসেছে।
এম/এসআই