Menu
ঢাকা: রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে লাগা আগুনের ঘটনায় নিহত হয়েছেন সাততলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরাঁর ক্যাশিয়ার কামরুল হাবিব রকি। তিনি যশোর সদর উপজেলার ধোপাখোলা গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে।
শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে তার গ্রামের বাড়িতে মরদেহ নিয়ে আসা হয়। এরপর থেকে রকিকে শেষবারের মতো দেখতে বাড়িতে ভিড় করে প্রতিবেশী এবং আত্মীয় স্বজনরা। স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে গোটা পরিবেশ।
আরও পড়ুন<<>>লাশ পুড়ে অঙ্গার, হাতঘড়ি দেখে প্রকৌশলী মিনহাজকে শনাক্ত করল পরিবার
খাটিয়ার পাশে বসে আহাজারি করতে করতে কামরুল হাবিব রকির মৃত্যুর শেষ সময়ের বর্ণনা দিচ্ছিলেন তার মা রিপা বেগম।
তিনি বলেন, ‘‘আমার সোনা (নিহত কামরুল হাবিব রকি) প্রথমে আমার ভাইরে ফোন করে বলে যে ‘মামা আমারে বাঁচাও’। এরপরে আমি আমার ফোন দিয়ে আমার সোনারে ফোন দিই, তখন আমার সোনা বলে, ‘আম্মা আমি মনে হয় আর বাঁচব না’। তখন আমি আমার সোনারে কালেমা পড়তি বলি, আমিও কালেমা পড়ছি, আমার সোনাও আমার সঙ্গে কালেমা, দোয়া-দরুদ পড়ছে। কালেমা পড়তি পড়তিই কল কেটে যায়, তারপর থেকে আর আমার সোনারে ফোন দিয়ে পাইনি, পরে খবর পাই আমার পরান পাখি আর নেই।’’
আরও পড়ুন<<>>অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে যা বললেন কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁর ম্যানেজার
নিহতের বাবা কবির হোসেন বলেন, ১৫ দিন আগে রকি বাড়িতে এসেছিল। ডিগ্রিতে ভর্তি হওয়ার জন্য ফরম তুলে আবার ঢাকায় ফিরে যায়। আমার ছেলেকে আমি এভাবে হারাব, আমি কোনোদিন ভাবতে পারিনি। আমার ছেলে সংসারের হাল ধরতে গিয়ে আজ লাশ হয়ে ফিরে আসলো।
শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজের পর রকির জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন<<>>গিয়েছিলেন বিদেশ যাওয়ার শপিংয়ে, মৃত্যু তাদের ডেকে নিলো কাচ্চি ভাইয়ে!
আইএ
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT