লালমনিরহাট: গত বছরের অক্টোবর মাসের ৫তারিখে লালমনিরহাট আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস স্থান পরিবর্তন করে শহরের অদূরে ঢাকা-বুড়িমারী মহাসড়কের সাপ্টিবাড়ি এলাকায় নতুন অফিসে নতুনরূপে কার্যক্রম শুরু করা হয়।
এরআগে দীর্ঘদিন শহরের স্টেডিয়াম এলাকার ভাড়া বাসায় অতি ছোট পরিসরে চলতো অফিসটির কার্যক্রম। সেখানে দীর্ঘ লাইন দেখা যেত। আগের অফিসের তুলনায় এখনকার অফিস ও কক্ষ বেড়েছে। পাশাপাশি সেবার মান বেড়েছে তিন গুণ। কমেছে ভোগান্তি, কমেছে অফিসিয়াল খরচ। সেবা গ্রহীতাদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার অবসান হয়েছে।
কয়েকজন সেবা গ্রহীতা সাংবাদিকদের বলেন, এখন পাসপোর্ট অফিসে এসে আবেদন করে অতি দ্রুতই পাসপোর্ট পাওয়া যায়। অনলাইনে আবেদন করে অতি দ্রুত পুলিশ ভেরিফাই কমপ্লিট হয়ে কোন প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই পাসপোর্ট হাতে চলে আসে। এছাড়া বর্তমান অফিস পুরোটাই সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এখানে কমেছে দালালদের দৌরাত্ম, বন্ধ হয়েছে অবৈধ লেনদেন। এছাড়াও ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ছবি তোলার কক্ষ আগের চেয়ে বেড়েছে এবং জনবলও বেড়েছে। দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে না সেবা গ্রহীতাদের। সেবা পেয়ে তারা বেশ উচ্ছ্বাসিত।
লালমনিরহাট অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে পাসপোর্ট সংক্রান্ত ভোগান্তি কমাতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ই পাসপোর্ট সংক্রান্ত সেবা বাস্তবায়ন করেছে। যা আবেদন থেকে শুরু করে পাসপোর্ট হাতে পাওয়া পর্যন্ত অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসেই গ্রহীতা করতে পারবেন এবং দেখতে পারবেন। আর ওই ই সেবা বাস্তবায়নের কারণে এখন পাসপোর্ট ভোগান্তি কমেছে।
লালমনিরহাট পাসপোর্ট অফিসের সহকারি পরিচালক মোঃ আইয়ুব আলী জানান, আগের অফিসের চাইতে এখনকার অফিস বড় করা হয়েছে। নতুন ভবনে কার্যক্রম শুরুর চার মাসেই দেখা যাচ্ছে, সেবার মান বাড়ছে। সেবা গ্রহীতাদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার অবসান হয়েছে। অফিসের আশেপাশে সেবা গ্রহীতা ছাড়া অন্য কোন লোকজনের অফিসে ঘোরাঘুরি বন্ধ করা হয়েছে। সেবার মান বাড়িয়ে সকল গ্রহীতাদের সহযোগিতায় একটি অত্যাধুনিক পাসপোর্ট অফিস গড়ে তোলার ইচ্ছার কথা জানান তিনি।
তিনি আরো জানান, জাতীয় পরিচয় পত্র ও অন্যান্য ব্যক্তিগত কাগজপত্রে ভুল তথ্য থাকার কারণে সেবা দিতে বিলম্ব হয়। এক্ষেত্রে সেবা গ্রহীতাদের যেকোন পরামর্শ ও সহযোগিতা করতে আমরা বদ্ধপরিকর। এখন আবেদনকারী নিজেরাই আবেদন জমা দিতে পারছেন। এতে কোনো ধরনের অতিরিক্ত অর্থ লেনদেনের সুযোগ বা কারণ নেই বলেও তিনি জানান।
এমএস