কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির প্রতারণায় হয়রানীর শিকার হচ্ছে সাধারণ মৎস্যজীবিরা। এর প্রতিবাদে ১৭ মার্চ, রবিবার দুপুর ১২ টায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ কুটিচন্দ্রখানা গ্রামের ভুক্তভোগী সাধারণ জেলেরা। বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলা সদরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে উপজেলা গেটে মানববন্ধন করে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ক্ষিরোদ চন্দ্র বিশ্বাস, নিয়াশা বিশ্বাস, সন্তোষ চন্দ্র, কামাক্ষা চন্দ্র প্রমূখ। বক্তারা অভিযোগ করেন, বিবাদীরা ফুলবাড়ী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির নামে ফুলসাগর লেকটি ইজারা নেয়। এজন্য তারা ২৬ জন সাধারণ জেলেকে সদস্য হিসেবে তালিকাভূক্ত করে কিন্তু এ বিষয়ে আমরা কিছুই জানতাম না। ইজারার টাকা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পরিশোধ না করায় ২ মার্চ, ২০২৪ তারিখে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক ২৬ জন সদস্যের নামে ইজারার টাকা পরিশোধের নোটিশ জারি করে। প্রত্যেক সদস্যকে ১ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা করে দিতে হবে। আমরা গরীর জেলে, ইজারার সুবিধাও পাইনি। আমাদের পক্ষে এ টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী জেলেরা ১৪ মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ফুলবাড়ী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির নামে সংগঠনটির সভাপতি দক্ষিণ কুটিচন্দ্রখানা গ্রামের ধরনী বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক কবিরমামুদ গ্রামের মফিদুল হক ১৪২৯ বাংলা সন মেয়াদে ফুলসাগর লেকটি ইজারা নেন। এজন্য তারা ২৬ জন জেলেকে সদস্য অন্তর্ভূক্ত করে।
বিষয়টি জানতেন না ওই সদস্যরা। ইজারার টাকা জমা দেয়ার সময় পার হয়ে গেলে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ইজারার ৪৮ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করার জন্য ২৬ জন সদস্যের নামে সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করে নোটিশ প্রদান করে। নোটিশে ৩০ দিনের মধ্যে টাকা জমা দেয়ার জন্য বলা হয়। নোটিশ পাওয়ার পর দিশেহারা হয়ে পড়ে সাধারন জেলেরা। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে সভাপতি ও সম্পাদকের সাথে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ জমা দিয়েছে ভূক্তভোগী জেলেরা।
ফুলবাড়ী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি ধরনী বিশ্বাস জানান, আমাকে নামমাত্র সভাপতি বানিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান মইনুল হক ও আহাম্মদ আলী পোদ্দার রতন ও সবুজ পোদ্দার মোস্তাক কার্যক্রম পরিচালনা করেন ওই লেগ থেকে যত ইনকাম হয়েছে তারাই সবকিছু নিয়েছেন, এরা কিছু টাকা ডিসি অফিসে জমা দিয়েছে বলে জানান।
এব্যাপারে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আছে পীর আহমেদ জানান ইতিমধ্যে একটি আবেদন পেয়েছি যেহেতু আদালতের বিষয় তাই আদালতের নির্দেশ পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএস
আপনার মতামত লিখুন :