কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় নৌকাডুবিতে আরও দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।
তারা হলেন- ভৈরব হাইওয়ে থানার কনস্টেবল সোহেল রানার স্ত্রী মৌসুমী বেগম (২৬) ও তাদের সাত বছর বয়সি মেয়ে ইভা বেগম।
এ নিয়ে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হলো। এর আগে শুক্রবার শহরের কমলপুর এলাকার সুবর্না বেগমের (৩০) লাশ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
এখন পর্যন্ত পুলিশসহ ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন। তারা হলেন- পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা (৩৪), তার মেয়ে মাহমুদা সুলতানা (৭), ছেলে রাইসুল (৫), নরসিংদির বেলাব থানার দড়িকান্দি গ্রামের দারু মিয়ার মেয়ে আনিকা আক্তার (১৮), শহরের আমলাপাড়া এলাকার ঝন্টু দে’র স্ত্রী রুপা দে (৩০) ও কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলার মানিকখালী গ্রামের বেলন দে (৪৫)।
শুক্রবার বিকালে নাহিদ মাঝির একটি ভ্রমণতরি ১৫/২০ জন যাত্রী নিয়ে নদী ভ্রমণে যায়। সন্ধ্যায় ইফতারের আগে নৌকাটি ভৈরব পাড়ে ফেরার সময় বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় পানিতে ডুবে যায়।
ভৈরব নৌ-থানা পুলিশ বালুবাহী বাল্কহেডটি রাতেই নরসিংদীর রায়পুরা এলাকা থেকে তিন মাঝিসহ আটক করে।
শনিবার ভোর থেকে মেঘনা নদীতে ফায়ার সার্ভিসকর্মী ও বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরিসহ পুলিশ উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ডুবে যাওয়া নৌকাটি নদীর তলদেশে চিহ্নিত করা গেলেও এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
আইএ
আপনার মতামত লিখুন :