ময়মনসিংহ: দুচোখে দেখার আকুতি স্কুল ছাত্রী রোবিনার। প্রায় সাত মাস পূর্বে একটি সড়ক দূর্ঘটনায় সৌভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে গেলেও চোখের আলো হারিয়ে ফেলেছে দশম শ্রেণীর ছাত্রী রোবিনা। তবে বিদেশে গিয়ে চোখের উন্নত চিকিৎসা করালে বা চোখ প্রতিস্থাপন করলে হয়তো রোবিনার চোখের আলো ফিরতে পারে। তবে রোবিনার চোখের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ৩ লাখ টাকা।
এছাড়াও রোবিনার একটি হাত ও নাকের অপারেশন এখনও বাকী রয়েছে। কিন্তু রোবিনার বাবা রুবেল মিয়া একজন বর্গাচাষী। অন্যের জমি চাষ করে কোনমতে পরিবারের ৫ সদস্যের সংসার চালায়। সহায় সম্বল না থাকায় মেয়ের চিকিৎসার খরচ যোগানো সম্ভব হচ্ছে না।
জানা গেছে, রোবিনা ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের ধরগাঁও চকপাড়া গ্রামের কৃষক রুবেল মিয়ার বড় কন্যা। রোবিনা উপজেলার মুশুল্লী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী।
গত বছর ২৯ শে আগস্ট বিদ্যালয়ের সামনে ময়মনসিংহ-টু-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে স্কুল থেকে ইজিবাইকযোগে বাড়ি ফিরার পথে বাসের সঙ্গে ভয়বাহ দূর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। এসময় ওই দূর্ঘটনায় ইজিবাইকে থাকা আরও দুইজন যাত্রী ঘটনাস্থলে মৃত্যু বরণ করে। কিন্তু রোবিনা আক্তার গুরুতর আহত হয়ে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা হাসপাতালে ভর্তি হয়।
পরিবারের লোকজন, তাঁর স্কুলের শিক্ষক ও সহপাঠী সহ সাংবাদিক আলম ফরাজীর সহযোগিতায় রোবিনার চিকিৎসার খরচের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু সে প্রাণে বেচেঁ গেলেও তাঁর চোখ দুটির আলো হারিয়ে ফেলেছে।
তাই এ বিষয়ে রোবিনার বাবা রুবেল মিয়া বলেন, ভাই আমি গরীব মানুষ। আমার দূর্ঘটনায় চোখ হারানো মেয়েটাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার করানোর মতো আমার সহায় সম্বল নেই। সমাজের বিত্তবানদের বা সরকারের সহযোগিতা পেলে মেয়ের চোখের চিকিৎসা করা সম্ভব হবে।
অপরদিকে বড় বোনের চোখের আলোর জন্য ছোট বোন শর্মিলা আক্তার ও সহপাঠী প্রীতি আক্তার জানায়, সকলেই সহযোগিতা হাত বাড়ালে রোবিনা চোখের আলো ফিরে পাবে।
এ বিষয়ে সাংবাদিক আলম ফরাজীর বলেন, মানবতার সেবাই পরম ধর্ম। মানুষ মানুষের জন্য কথাটি চিন্তা করে আহত রোবিনাকে সহযোগিতা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি।
তবে তা একার পক্ষে সম্ভব নয় বলে রোবিনার বাবার বিকাশ/নগদ একাউন্ট ০১৯৩১-৬৪৮৭৫৬ নাম্বারে সহযোগিতা পাঠানোর অনুরোধ জানাই। আশা করি সকলের সহযোগিতা পেলে রোবিনা সম্পূর্ণ সুস্থ হবে এবং তাঁর চোখের আলো ফিরে পারে।
এআই/এসআই