• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
মৌলভীবাজার

মা-বাবা ও তিন ভাই-বোনের পর চলে গেল সোনিয়াও


মৌলভীবাজার প্রতিনিধি মার্চ ২৭, ২০২৪, ১০:০৫ এএম
মা-বাবা ও তিন ভাই-বোনের পর চলে গেল সোনিয়াও

মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বাবা-মা ও তিন ভাই-বোনের পর আহত শিশু সোনিয়া আক্তারও (১২) মারা গেছে।

বুধবার (২৭ মার্চ) ভোরে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার। এ নিয়ে এ ঘটনায় ওই পরিবারের ৬ জনেরই মৃত্যু হলো।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দিনভর নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিল সোনিয়া। তার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। সেইসঙ্গে হার্টেও সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। এ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত ১০টায় স্বজনরা অ্যাম্বুলেন্সযোগে তাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

এর আগে মঙ্গলবার ভোরে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ী গ্রামের ভাঙ্গার পাড় এলাকায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের মৃত্যু হয়। মৃত ভেবে সোনিয়া আক্তারকেও (১২) রাখা হয়েছিল মরদেহের সারিতে। ঘণ্টাখানেক পর সোনিয়ার শ্বাস-প্রশ্বাস বুঝতে পেরে দ্রুত তাকে নিয়ে যাওয়া হয় মৌলভীবাজার জেলা হাসপাতালে। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তাকে দিনভর আইসিইউতে রাখা হয়।

নিহতরা হলেন- ফয়জুর রহমান (৫০), তার স্ত্রী শিরি বেগম (৪৫), তাদের মেয়ে সামিয়া (১৫), সাবিনা (৯) এবং ছেলে সায়েম উদ্দিন (৭)। সোনিয়া স্থানীয় ইন্তাজ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। তার মারা যাওয়া বোন সামিয়া নবম শ্রেণিতে এবং সাবিনা চতুর্থ শ্রেণিতে পড়তো।

এমটিআই

 

Wordbridge School
Link copied!