বরিশাল: মানুষের জীবনে পিতামাতার পরই শিক্ষকের অবস্থান। এবার সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধেই এক ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশাল নগরীর ২৭নং ওয়ার্ডের রুইয়া মারকাযুল কুরআন মাদ্রাসায়।
জানা যায়, কয়েকদিন ধরে ওই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের এক শিশু শিক্ষার্থীকে নানাভাবে যৌন হয়রানির চেষ্টা করে আসছিলেন শিক্ষক সানাউল্লাহ। সর্বশেষ ২২ মার্চ রাতে ১২ বছর বয়সী ওই শিশুকে শিক্ষক সানাউল্লাহ তার শোবার রুমে ডেকে নিয়ে লজ্জাস্থানে হাত দেয়। পরে ঐ ছাত্রকে জোড়পূর্বক বলৎকারের চেষ্টা করলে সে চিৎকার চেচামেচি করলে তাকে ছেরে দেয় সানাউল্লাহ নামে ওই শিক্ষক। ছাত্রটি এমন ঘটনা তাৎক্ষণিক অন্যান্য শিক্ষকদের জানালে তারা কারও কাছে বিষয়টি না বলার জন্য ওই ছাত্রকে বলেন। পরদিন ওই ছাত্র বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে তারা মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচারের দাবী জানান। তবে মাদ্রাসার অন্যান্য শিক্ষকরা কোন ধরনের ব্যবস্থা না নিয়ে শিক্ষক সানাউল্লাহকে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেয়।
এবিষয়ে জানতে শনিবার (২৩ মার্চ) রাতে ওই মাদ্রাসায় উপস্থিত হলে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে কোন কথা না বলে সটকে পরেন মাদ্রাসার সহকারী প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন সহ অন্যান্য শিক্ষকরা।
তবে কিছু রটলে কিছু ঘটে জানিয়ে মাদ্রাসাটির পরিচালক হাফেজ মাওলানা ফিরদাউল আল হানিফি মুঠোফোনে জানান, আমরা বিষয়টি জানার পর ওই শিক্ষকে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেয়া হয়।
তবে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য এই প্রতিবেদককে ম্যানেজেরও চেষ্টা চালায় তিনি।
পবিত্র রমজান মাসে এমন অমানবিক ঘটনায় ধিক্কার জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এসআই