চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার মহাম্মদজমায় পরকীয়া সম্পর্কের জেরে নিজ স্ত্রী মর্জিনা খাতুনকে গলা টিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (৩১ মার্চ) মধ্যরাত ৩ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এরপরই নিহতের পরিবার ও গ্রামবাসিরা ইব্রাহিমকে আটক করে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেন।
নিহত মর্জিনা খাতুন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদজুমা গ্রামের কৌদোপাড়ার ইব্রাহিমের স্ত্রী। তিনি দুই সন্তানের জননী ছিলেন।
স্থানীয় ও নিহতের পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত ইব্রাহিম দীর্ঘদিন যাবত তারই প্রতিবেশি আব্দুর রশিদের স্ত্রীর সাথে পরকীয়া সম্পর্ক জড়িয়ে পড়েন। গোপনে চলতে থাকে তাদের অবৈধ মেলামেশা।
পরকীয়ার সম্পর্কটি প্রকাশ্য হলে মর্জিনা খাতুনের সঙ্গে স্বামী ইব্রাহিমের দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয়। এরই মধ্যে গত ৩ মাস আগে ওই নারীকে (পরকীয়া প্রেমিকা) তালাক দেন আব্দুর রশিদ। এরই জের ধরে ইব্রাহিম তার স্ত্রী মর্জিনা খাতুনকে গলা টিপে হত্যা করে বাড়ির আঙিনায় ফেলে রাখে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নুর ইসলাম বলেন, পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে মর্জিনা খাতুনকে গলা টিপে হত্যা করেছে বলে দাবি করছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। রাতেই ইব্রাহিমকে গ্রামবাসি আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে হত্যার কথা স্বীকারও করেছে বলে জেনেছি। প্রকৃত ঘটনা পুলিশের তদন্তে বের হয়ে আসবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কুতুবপুর পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরিদুল ইসলাম বলেন, নিহতের পরিবারের দাবি, পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে দাম্পত্য কহলের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে ইব্রাহিম তার স্ত্রীকে হত্যা করে। নিহতের গলায় সামান্য একটি আঘাতের আলামত পাওয়া গেছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, দাম্পত্য কলহের জেরে নিজ স্ত্রীকে হত্যা করেছে বলে মর্মে জানতে পেরেছি। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। আমরা অভিযুক্ত ইব্রাহিমকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়েছি।
এমএস
আপনার মতামত লিখুন :