• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের চাপ, যানবাহনে ধীরগতি 


গাজীপুর প্রতিনিধি এপ্রিল ৭, ২০২৪, ১২:৩৮ পিএম
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের চাপ, যানবাহনে ধীরগতি 

গাজীপুর: চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আসছে ১০ বা ১১ এপ্রিল সারা দেশে যথাযথ মর্যাদা ও আনন্দ উৎসাহের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ এক মাস দীর্ঘ সিয়াম সাধনার পর পালিত হবে ২০২৪ এর পবিত্র ঈদুল ফিতর। তবে এরই মধ্যে দেশের ২৩জেলার যাতায়াতের একমাত্র সুবিধাজনক সড়ক পথ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরা ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়ছে চোখে পড়ার মতো। এতে করে অতিরিক্ত যাত্রীবহনে এই মহাসড়কে যানবাহনের সংখ্যাও বেড়েছে কয়েক গুণ। 

রোববার (৭ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার আওতাধীন শফিপুর ও উওর বঙ্গের ট্রানজিট খ্যাত চঁন্দ্রা পয়েন্ট ঘোরে দেখাগেছে, মহাসড়কের বিভিন্ন স্টপেজ ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ঘরমুখো মানুষেরা অপেক্ষা করছেন নিজ-নিজ জেলার দুর পাল্লার বাসে উঠার জন্য। 

এদিকে চঁন্দ্রা পয়েন্টে গিয়ে দেখাগেছে, যাত্রীদের চাপের দৃশ্য দেখে পরিবহন সংশ্লিষ্টরাও দুর পাল্লার বাস ও গণপরিবহনের সংখ্যাও মহাসড়কে বাড়িয়েছেন। যার ফলে যাত্রীর চাপ যেমন বাড়ছে, তেমনি গাড়ির সংখ্যাও বেড়ে যাওয়ায় সড়কে যানচলাচলে কিছুটা ধীরগতির সৃষ্টি হয়েছে। থেমে-থেমে গাড়ি চলতে দেখা গেছে, শফিপুর এলাকায় দুর পাল্লার অনেক বাস ও গণপরিবহনকে। 

চঁন্দ্রা পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় শিউলি পরিবহনের হেলপার রাজু বলেন, গাজীপুর জেলার অধিকাংশ এলাকায় শিল্প কারখানায় ভরপুর। কালিয়াকৈর একটি শিল্প অধ্যুষিত অঞ্চল। এখানে ছোট-বড় অসংখ্য শিল্প-কলকারখানা রয়েছে। এ অঞ্চল ছোট- ছোট শিল্প-কারখানার মালিকেরা এরই মধ্যে স্ব-স্ব কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছেন। এর ফলে ছুটি ঘোষণায় চঁন্দ্রা এবং এর আশেপাশের এলাকা গুলোতে যাত্রী ও গণপরিবহণের চাপ বেড়েছে। যার প্রভাবে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে থেমে-থেমে চলছে যানবাহন।

অপর দিকে ঘরমুখো যাত্রীদের অভিযোগ, সামান্য যানজট এর ভোগান্তি ও ভিড় ঠেলে গ্রামের বাড়িতে ফিরতে তেমন কষ্ট মনে হচ্ছে না। গত ঈদের চেয়ে এবার দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের। এটা তাদের জন্য মরার উপর খাঁড়া খাঁ হয়ে উঠেছে। একতা পরিবহনের যাত্রী হাসিবুল ইসলাম বলেন, গেল ঈদের সময় বাড়তি ভাড়া দিতে হয়েছে মাত্র ৫০ টাকা। এবারের ঈদের ছুটির সময় বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে ২০০/২৫০ টাকা। এরকম চললে, আমরা কি ভাবে চলমু। 

গাজীপুরের হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, চন্দ্রা ত্রিমোড়ে যাত্রীবাহী বাসগুলো ইচ্ছেমতো থামিয়ে যাত্রী ওঠানোর ফলে সড়কে কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে পেছনের গাড়িগুলো স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারেনা। এছাড়াও গাড়ি ওভারটেক না করলে যানজটের ভোগান্তি হবেনা। 

নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, সরকারি ছুটি শুরু না হলেও গতকাল রাত থেকে ঘরমুখো মানুষ গ্রামে যাওয়া শুরু করেছে। এ জন্য রাত থেকে যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করেছে। তিনি বলেন, যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ, থানা-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। আশাকরি এবার তেমন যানজটের ভোগান্তি মহাসড়কে সৃষ্টি হবেনা। 

এমএস/এসআই

Wordbridge School
Link copied!