লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর সদরের কুশাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন মানিকের বিরুদ্ধে গ্রামপুলিশে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে যুবকের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন হাফিজ উল্যা নামের ওই যুবক। একপর্যায়ে তাকে ইউএনওর কার্যালয়ের মেঝেতে হামাগুড়ি দিয়েও কান্না করতে দেখা গেছে।
হাফিজ জানান, গ্রামপুলিশে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে জানতে পেরে তিনি উপজেলা কার্যালয়ে আসেন। কিন্তু পরীক্ষার জন্য তাকে ডাকা হয়নি। বিষয়টি তিনি চেয়ারম্যান মানিকের কাছে জানতে চান। তখন চেয়ারম্যান তাকে জানান, আগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। এসময় টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বললে কোনো উত্তর দেননি চেয়ারম্যান। একইসঙ্গে সঙ্গে পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী তাকে নেওয়া হবে কি না তা জানতে চাইলেও জানাননি।
হাফিজ উল্যা কুশাখালী ইউনিয়নের নলডগি গ্রামের রিকশাচালক সেকান্তর মিয়ার ছেলে ও পেশায় রিকশাচালক। তিনি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রামপুলিশে চাকরিপ্রত্যাশী ছিলেন।
হাফিজ উল্লাহ বলেন, গরু ও রিকশা বিক্রিসহ ঋণ নিয়ে চাকরির জন্য চেয়ারম্যানকে দেড় লাখ টাকা দিয়েছি। চাকরিতো পেলামই না, এখন টাকাগুলো ফেরত দেবে না। আমি কীভাবে এখন সংসার চালাবো? মানুষের ঋণের টাকা কীভাবে পরিশোধ করবো।
তিনি আরও বলেন, দেড় লাখ টাকাসহ চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র চেয়ারম্যান আমার কাছ থেকে নিয়েছেন। কিন্তু তিনি আমার চাকরির আবেদনই করেননি। অপর প্রার্থীর কাছ থেকে আরও বেশি টাকা নিয়ে তার আবেদন উপজেলায় জমা দিয়েছেন। প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি ইউএনওকে জানানো হয়েছে। তিনি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছেন।
এ বিষয়ে কুশাখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন মানিকের মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমান বলেন, টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কেউ যদি কারো কাছ থেকে টাকা নিয়ে থাকেন, তাহলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার সদর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের গ্রামপুলিশ (দফাদার ও মহল্লাদার) নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৩৬ জনের বিপরীতে ৪৩ জন অংশ নেন।
এমএস