ঢাকা: বান্দরবানের রুমার বেথেলপাড়ায় অভিযান চালিয়ে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) দুই সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। একই সঙ্গে তাদের কাছ থেকে ৭টি দেশীয় বন্দুক, ২০ রাউন্ড গুলি, ল্যাপটপ, ইউনিফর্ম ও বুট জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।
সোমবার (৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আইএসপিআর জানায়, বান্দরবনের রুমা উপজেলার বেথেলপাড়ায় আজ যৌথ বাহিনীর তল্লাশি অভিযানে দুজন সক্রিয় কেএনএফ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া সাতটি দেশীয় বন্দুক, ২০ রাউন্ড গুলি, ল্যাপটপ, ইউনিফর্ম ও বুট জব্দ হয়েছে।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে রুমা সেনা জোনের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কে এম আরাফাত আমিন জানান, রুমা সেনাবাহিনীর অভিযানে বেথেলপাড়ায় অভিযান চালিয়ে ৭টি দেশীয় বন্দুক, ২০টি রাউন্ড গুলি, কেএনএফের ইউনিফর্ম, ল্যাপটপ, একজোড়া বুট ও ১টি ছুরিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। একই সাথে কেএনএফের আরও ২ সদস্যসহ সন্দেহভাজন হিসেবে রুমা সোনালী ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার (ক্যাশ) আটক করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, রুমা-থানচিতে পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের তাণ্ডবের ঘটনায় রুমা-থানচিতে ৮টি মামলা হয়েছে। তাণ্ডবের ঘটনায় জড়িতদের ধরতে রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি ও আলীকদম উপজেলায় সেনাবাহিনী-র্যাব ও পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান চলছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন জানান, থানচি থেকে ১ জন এবং রুমা থেকে ৬ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। এর আগে সদরের শ্যারণপাড়া থেকে কেএনএফের প্রধান সমন্বয়ককে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে সেনাবাহিনী-র্যাব-পুলিশের পৃথক অভিযানে এখন পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে কেএনএফ তাণ্ডবের ঘটনায় বান্দরবান জেলাজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের সাঁজোয়া যানসহ বিভিন্ন ধরনের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।
এমএস