টাঙ্গাইল: ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার সড়কে রয়েছে দুই লেন। এই সড়কের যানজট এড়াতে এবারও ঢাকামুখী পরিবহনগুলো বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-ভূঞাপুর ও এলেঙ্গা পর্যন্ত ২৯ কিলোমিটার সড়ক ঘুরে যাচ্ছে ঢাকার দিকে। ফলে এই আঞ্চলিক সড়কেও বেড়েছে ভোগান্তি।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ভোর থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ভোগান্তির চিত্র দেখা যায়। বেলা যত ঘনিয়ে আসছে, ততই যানজট ও গাড়ির দীর্ঘ সারি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে ঢাকামুখী যানবাহনে তেমন যাত্রী নেই।
সরেজমিনে আঞ্চলিক মহাসড়কের পালিমা, সয়া, নারান্দিয়া, সিংগুরিয়া, ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড, গোবিন্দাসী স্কুল ও টি-রোড, মাটিকাটা, সিরাজকান্দি ও পাথাইকান্দি/যমুনা সেতু বাজার এলাকায় থেমে থেমে যানজট ও ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। ফলে যথাসময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে বেগ পোহাতে হচ্ছে চালকদের।
রংপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের চালক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সেতু পাড় হয়ে সেতুর পূর্ব গোলচত্বরে এসে প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে যানজটে পড়েছি। এই আঞ্চলিক মহাসড়ক একমুখী ও স্থানীয় যানবাহন চলাচলের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।’
নাটোর থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহনের চালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘ভূঞাপুর-আঞ্চলিক সড়কেও অনেক যানজট। সেতুর পূর্ব থেকে গোবিন্দাসী আসতে ১ ঘণ্টার মতো সময় লেগেছে। এ সড়কেও পথে পথে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।’
এই আঞ্চলিক মহাসড়কে এলাকাভিত্তিক পরিবহনগুলো চলাচলে ভোগান্তি বেড়েছে। দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্থানীয় লোকজনও। এই যানজট রোধে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মীর মো. সাজেদুর রহমান বলেন, ‘এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা পর্যন্ত যানবাহন ধীরগতিতে চলাচল করছে। এর পাশাপাশি ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কেও ঢাকামুখী যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। যার কারণে থেমে থেমে যানজট ও ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে।’
এমএস