ভাঙ্গুড়া: তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার জনজীবন। তীব্র গরম উপেক্ষা করেও জীবন জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছেন কর্মজীবীরা। চলার পথে ঢুঁ মারছেন ভ্রাম্যমাণ ডাবের দোকানে। কেউ বা ছুটছেন কোমল পানীয়ের সন্ধানে।
ভাঙ্গুড়া উপজেলায় প্রতিটি ডাব বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত। এতে প্রয়োজন হলেও ডাব কিনে খেতে পারছে না মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা। কেউ কিনছেন, কেউ দাম শুনেই চলে যাচ্ছেন। গরমের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে চাহিদা, যে কারণে ডাবের দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
রোববার (২১ এপ্রিল) উপজেলার শরৎনগর ও ভাঙ্গুড়া বাজারের বিভিন্ন এলাকায় এই চিত্রের দেখা মেলে।
ডাবের এই চড়া দাম শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করে ক্রেতারা বলেন, গরমের কারণে ডাবের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দোকানিরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এক সপ্তাহ আগেও মাঝারি সাইজের একটি ডাব ৭০ টাকায় কেনা যেত। এখন দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে বিক্রেতারা।
ভাঙ্গুড়া উপজেলার শরৎনগর বাজারের ডাব বিক্রেতা আছাদুল ইসলাম বলেন, ঈদের আগেও ডাবের এতো চাহিদা ছিল না। ঈদের পর গরমও অনেক পড়েছে। ডাবের চাহিদাও বেড়েছে। ১০০ টাকার উপরে ডাব কিনতেই হচ্ছে। এ কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হালিমা খানম সোনালীনিউজকে বলেন, ‘গরমের কারণে শরীরে পানিস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। ডাবের পানি সম্পূর্ণ একটি প্রাকৃতিক পানীয়। ডাবের পানিতে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম হৃৎপিণ্ডের সুস্থতা বজায় রাখে।’
এমএস