বরিশাল: বরিশাল সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. দেলোয়ার হোসেনের ভুল চিকিৎসায় গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রায় দুই মাস ১০ দিন আগে বরিশাল নগরীর একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ওই গৃহবধূর সিজার অপারেশন করেন ডা. দেলোয়ার। অপারেশনের পর বাচ্চা সুস্থ থাকলেও গৃহবধূর শরীরে পচন ধরেছিল। রোববার (২১ এপ্রিল) নগরীর বগুড়া রোড সাউথ বেঙ্গল ক্লিনিকে মারা যান তিনি।
মৃত ওই গৃহবধূর নাম লামিয়া রিয়া (১৯)। তিনি পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলার ৫নং জলাবাড়ি ইউনিয়নের কামারকাঠি গ্রামের সাব্বির হোসেনের স্ত্রী। সাব্বির হোসেন বলেন, ৫ ফেব্রুয়ারি আমার সুস্থ স্ত্রীকে সিজারের জন্য ডা. দেলোয়ার হোসেনের কাছে নিয়ে আসি।
সিজারের ৪-৫ দিন পর সেলাই খুলতে আসি। তখন দেখি সেলাইয়ের জায়গা থেকে রক্ত ও পুঁজ বের হচ্ছে। তখন ডা. দেলোয়ার বলেন, আরেকটি ছোট অপারেশন করাতে হবে। তাহলেই ঠিক হয়ে যাবে। তার কথামতো অপারেশন করানো হলেও দিন দিন ওই জায়গায় পচন আরও বেড়েছিল। রোববার সকালে মারা যায় রিয়া। এ ঘটনায় তিনি মামলা দায়ের করবেন।
মৃত রিয়ার মা রাবেয়া বেগম বলেন, সিজারের পর ক্ষতস্থান থেকে রক্ত ও পুঁজ বের হলে ডাক্তারের কথামতো আরেকবার অপারেশন করা হয়েছিল। তারপর থেকে সম্পূর্ণ পেটে পচন ধরেছে এবং সেখান থেকে রক্ত, পুঁজের পাশাপাশি মলও বের হয়। ডাক্তারের কারণে আজ তো আমার মেয়ে মারাই গেল।
মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকরা গেলে তাদের ওপর চড়াও হন ডাক্তার দেলোয়ার হোসেন, ভাগিনা ও ওই ক্লিনিকের দালালরা। তখন তারা দাম্ভিকতার সঙ্গে বলতে থাকেন কেউ কোনো সংবাদ প্রকাশ করতে পারবে না। সংবাদ প্রকাশ করলে তাদের দেখে নেওয়ার হুমকি-ধমকিও দেয় ডাক্তার দেলোয়ার হোসেনের স্বজনরা।
এসব বিষয়ে জানতে ডাক্তার দেলোয়ার হোসেনকে একাধিকবার কল করলেও রিসিভ করেননি তিনি। এরপর তার মোবাইলে খুদে বার্তা পাঠালেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমানউল্লাহ বারী সাংবাদিকদের বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসআই