কুমিল্লা: চলমান তীব্র দাবদাহে জনমানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। কিন্তু জীবিকার তাগিদ যেন মানে না কিছুই। এমন সময় কুমিল্লায় ব্যস্ত শহরের মোগলটুলি, চকবাজার ও তেরীপট্টি এলাকায় এক গ্লাস শীতল শরবত স্বস্তি এনে দিয়েছে খেটে খাওয়া মানুষসহ পথচারীদের।
শহরের প্রাণকেন্দ্র গুলোতে দেখা মিলে এই উদ্যোগের। সাধারণ মানুষদের জন্য বিনামূল্যে শরবত পানের এ আয়োজন করেন কাজী ফাউন্ডেশন সদস্যরা।
আয়োজকরা একটি বড় পাতিলে লেবুর শরবত তৈরি করে নিয়ে এসেছেন। তারা গ্লাসে ঢেলে সাধারণ মানুষদের মাঝে তা বিতরণ করছেন। এ সময় রিকশাওয়ালা, নারী-শিশু, বৃদ্ধরা শরবত পান করেন।
আয়োজকরা সোনালী নিউজকে জানান, তীব্র গরমে মানুষদের প্রধান চাহিদা থাকে পানির প্রতি। কিন্তু শুধু পানি তৃষ্ণার চাহিদা মিটাতে পারে না, শরবত এখানে ভালো কাজ করে। তবে খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেটি ব্যয়বহুল। এ জন্য একবেলা শরবত পানের আয়োজন করা হয়।
পথচারীরা সোনালী নিউজকে বলেন, এখন খুব গরম। গরমে আমরা চলতে পারছি না। রিকশা চালানো খুব কষ্টের। এই শরবত খেয়ে খুব ভালো লেগেছে, আরাম হচ্ছে। যারা শরবত খাইয়েছে তাদের ভালো হোক। শরবত খেয়ে জানটা শান্তি হলো। এই শরবত কিনে খেলে ১০ টাকা লাগতো।
কাজী ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাতা কাজী পলু সোনালী নিউজকে বলেন, তীব্র গরমে সরকার স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দিয়েছে। মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। আর বিভিন্ন কাজে যারা আছেন সেখানে হিমশিম খাচ্ছে। রিকশাওয়ালারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে রিকশা চালাচ্ছে। এই যে পথচারীরা কষ্ট পাচ্ছে। লোকজন বের হচ্ছে কম, ভাড়াও পাচ্ছে কম। আবার এক গ্লাস শরবতের দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা। আমরা চিন্তা করলাম এক দিনও যদি তাদের শরবত তুলে দিতে পারি তাহলে কিছুটা সেবা করতে পারব। তাদের কলিজাটা ঠান্ডা করতে পারব। এই উদ্যোগ চলমান থাকবে বলে জানান কাজী পলু।
এম/এসআই