পাথরঘাটা: বরগুনা পাথরঘাটায় দুই পা ও এক হাত হীন প্রতিবন্ধী শিশু সুলতানা পারভীন (৩) সকলের সহযোগিতা নিয়ে বেঁচে থাকতে চায়। ২০২১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে দিনমজুর সুলতানের ঘরে ও মা খাদিজার কোলে জন্ম নেয় ফুটফুটে শিশু সুলতানা পারভীন। প্রথম সন্তান সুমনের জন্ম নেয়ার ১৭ বছর পর জন্মনেয় সুলতানা। সুমন বাবার আর্থিক সচ্ছলতা না থাকার কারণে স্বল্প বয়সে দিনমজুরের কাজ করতে হয়। ৪ জনের সংসারে এক ছেলে ও প্রতিবন্ধী মেয়ে সুলতানা কে নিয়ে অভাবে কাটে তাদের সংসার। অভাব অনটনের ঘরে জন্ম নিলে ও সুলতানা কে নিয়ে মা-বাবার অনেক স্বপ্ন। স্বপ্ন থাকা সত্ত্বেও অভাব অনটনের কাছে স্বপ্ন থমকে যাচ্ছে তাদের।
প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সুলতানার জন্ম থেকেই সকলে খোঁজ রাখছেন প্রতিবেশীরা। তার মা তাকে নিয়ে খুব কষ্ট করছেন এবং দু:শ্চিন্তায় দিন পার করছেন। পরিবারটি খুব গরিব হওয়ায় আমরা যে যখন পারছি তাকে সহযোগীতা করছি। সুলতানার মায়ের কষ্ট দেখে প্রতিবেশীদেরও খুব কষ্ট হয়। এই মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় রয়েছে বলেও জানান তিনি।
সুলতানার মা কান্না চোখে বলেন, আমি অন্যের বাড়ি কাজ করে সংসার চালাই। সুলতানা মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়ে ওরে কোন ভালো ডাক্তার দেখাতে পারি না ওষুধও কিনতে পারিনা। আমরা গরিব আমাদের যদি কেউ আর্থিক সহায়তা করত তাহলে আমার শিশুটাকে কৃত্রিম হাত পা লাগাতে পারতাম। আমার শিশুটা অন্য সকল শিশুদের সাথে হাঁটাচলা ও খেলা করতে পারত। এই স্বপ্নটা মনে হয় আমার স্বপ্নই থেকে যাবে।
সুলতানার বাবা বলেন, আমার মেয়েটা হাত-পা ছাড়াই জন্ম নিয়েছে। আমি মানুষের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালায় আমি চাই মেয়েকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করে যে কোন একটি চাকুরি দিতে পারলে অন্য কারো উপর নির্ভরশীল হতে হবে না। আমার মেয়েটার লেখাপড়ার করানোর জন্য অর্থের প্রয়োজন। আপনারা যদি আমাকে একটু আর্থিক সহযোগিতা করেন তাহলে আমার মেয়েটার আগামী দিন গুলো নিয়ে চিন্তা করতে হত না। আমাদের সহযোগিতা করার বিকাশ নাম্বার : 01718374233
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, আমি সমাজসেবা অফিসারের সাথে কথা বলে প্রতিবন্ধী সুলতানার খোঁজ নিচ্ছি। আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্য তার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ভাতা ব্যবস্থা করা হলে। উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা তার জন্য থাকবে।
এমএস