চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় ১৪ দিন ধরে অব্যহত রয়েছে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপমাত্রা। সোমবার দিবাগত রাতে বিদ্যুৎচমকানোর ও দমকা হাওয়ার সাথে সামান্য এক পসলা বৃষ্টি কিছুটা জনমনে কিছুটা স্বস্থি আনলেও দিনের আলো ফোটার সাথে বেলা যত বাড়তে থাকে সূর্যের চোখ রাঙ্গানিও ততো বাড়তে থাকে।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ৩ টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্র ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ২১ শতাংশ।
তীব্র রোদের তাপের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালকরা কাজ করতে না পেরে অলস সময়ও পার করছেন। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠাণ্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে স্বল্প আয়ের মানুষরা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে রাস্তা ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরি প্রয়োজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৯ চায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩২ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৫৩ শতাংশ। দুপুর ১২ টায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসে আদ্রতার পরিমান ছিলো ২৩ শতাংশ। তাপমাত্রা আরও বেড়ে বিকাল ৩ টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসে আদ্রতার পরিমান ছিলো ২১ শতাংশ।
এর আগে, রাত ১ টা ২০ মিনিটে বজ্রবৃষ্টি শুরু হয় এবং দমকা হাওয়া বয়ে যায়। প্রায় এক ঘন্টা স্থায়ী হয় এই ঝড়-বৃষ্টি। এসময় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১ দশমিক ৬ মিলিমিটার।
বৃষ্টির আগে গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ বৃষ্টির পর এ জেলার তাপমাত্রা আরও দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। জেলায় হিট এলার্ট জারী আছে। এর মধ্যে তাপমাত্রার পারদ সর্বোচ্চ ৪০ থেকে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রীতে উঠা নামা করছে। এপ্রিল মাস জুড়েই এ অবস্থা থাকবে। তাপমাত্রা আরো বাড়বে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে হিট এলাট মেনে চলতে। যেহেতু হিট স্ট্রক হচ্ছে। সেহেতু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। সেই সঙ্গে সবার যে অবলম্বন বিশেষ করে কৃষি, গবাদি পশু-পাখির প্রতি যত্নশীল হতে হবে এ মুহূর্তে। তিনি আরও বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে যে তথ্য ও নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে সে অনুযায়ী মাইকিং করা হচ্ছে।
এমএস