• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

লালমনিরহাটে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংঘর্ষ; সাংবাদিকের ক্যামেরা ভাংচুর, আহত ১০


লালমনিরহাট প্রতিনিধি মে ৪, ২০২৪, ০৭:২৯ পিএম
লালমনিরহাটে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংঘর্ষ; সাংবাদিকের ক্যামেরা ভাংচুর, আহত ১০

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ভিডিও করতে গেরে কালের কন্ঠের স্থানীয় প্রতিনিধি হাসান মাহমুদের ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ভাংচুর করা হয়েছে। সংঘর্ষে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহানা ফেরদৌসী সীমাসহ অন্তত ১০জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

শুক্রবার (৩ মে) রাত ১টার দিকে উপজেলার মেডিকেল মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে দুপক্ষের মধ্যে দিনভর ছিলো প্রচার প্রচারণা নিয়ে উত্তেজনা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কাপ পিরিচ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী লিয়াকত হোসেন বাচ্চুর সমর্থক হাফিজুল ইসলাম, প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহানা ফেরদৌস সীমাকে নিয়ে নির্বাচন প্রচারণার সময় অশ্লীল মন্তব্য করেন। বিষয়টি জানতে পেরে শাহানা ফেরদৌসী সীমার স্বামী ও পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুল আলম সাদাত প্রতিবাদ করেন। এর প্রেক্ষিতে দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ লাগে। এক পর্যায় পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করলে প্রার্থী সাহানা ফেরদৌসী সীমা তার সমর্থকদের নিয়ে মেডিকেল মোড় ত্যাগ করার সময় লিয়াকত হোসেন বাচ্চুর সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় লিয়াকত হোসেন বাচ্চু সমর্থকরা শাহানা ফিরদৌসী সীমার গাড়ী ভাংচুর করে। 

এদিকে সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে কালের কন্ঠের হাতিবান্ধা উপজেলা প্রতিবিধি হাসান মাহামুদের ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ভাংচুর করে প্রার্থী বাচ্চুর সমর্থকরা। এতে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহানা ফেরদৌসী সীমা হাতে ও শরীরে আঘাত পান। পরে আহতদের চিকিৎসার জন্য হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহানা ফেরদৌসী সীমার স্বামী মজিবুল আলম সাদাত বলেন, মেডিকেল মোড় এলাকায় হ্যান্ড মাইক দিয়ে আমার স্ত্রীকে নিয়ে নানা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছে এবং আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছিল লিয়াকত হোসেন বাচ্চুর লোকজন। বিষয়টি অনেকেই সাক্ষী দিয়েছে। আমরা মৌখিকভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের ওপর হামলা করেছে। এ ধরনের ঘটনায় আমরা সুষ্ঠ ভোট নিয়ে শঙ্কিত।

হাতীবান্ধা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই কোন অভিযোগ দেয়নি। পুলিশ বিষয়টি অবগত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

আইএ

Wordbridge School
Link copied!