জয়পুরহাট: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় তিন জনের মৃত্যুদণ্ড ও প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। জেলার কালাই উপজেলায় একটি ভ্যানের জন্য আবু সালাম হত্যা মামলায় এ রায় দেয়া হয়।
মঙ্গলবার (৭ মে) বেলা ১২ টায় মৃত্যুদণ্ডের এ রায় ঘোষণা করেন জয়পুরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মোঃ নুরুল ইসলাম। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন দুই আসামি। মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশনা প্রদান করেন আদালত।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাডঃ নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল জানান, মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- জেলার কালাই উপজেলার আওড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে হারুন- অর রশিদ, মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মোস্তাক আহম্মেদ ও জসিম উদ্দিনের ছেলে হাফিজার রহমান। রায় ঘোষণার সময় হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হারুন অর রশিদ আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ১২ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর জয়পুরহাট সদর উপজেলার দুর্গাদহ বাজার থেকে সাজা প্রাপ্ত আসামিরা আবু সালামের ভ্যান ভাড়া করে কালাই যায়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আবু সালামকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর আওড়া গ্রামের আমজাদ হোসেনের পারিবারিক কবরস্থানের পুরাতন কবরে লুকিয়ে রেখে ভ্যান নিয়ে পালিয় যায়।পরের দিন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
এ ব্যাপারে কালাই থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর্জা মোঃ শাহাজাহান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালাই থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আঃ সাত্তার ২০০৫ সালের ৯ জুলাই আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। চার্জশীটে উল্লেখ করা হয় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে শুধু মাত্র ভ্যানটি নেওয়ার জন্যই ভ্যান চালক আবু সালামকে খুন করে। পরে ভ্যানটি ২০০০ টাকায় বিক্রি করে নিজেরা ওই টাকা ভাগ করে নেয়।
রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাড: নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল পিপি ও এপিপি গকুল চন্দ্র মন্ডল, শামীমুল ইমাম শামীম, খাজা শামসুল ইসলাম বুলবুল এবং আসামি পক্ষে মামলা ছিলেন অ্যাড: আহসান হাবিব চপল ও শহিনুর রেজা শানু ।
এমএস