ফরিদপুর: ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ সদস্যসহ মোট ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
আহতদেরকে প্রথমে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাদের ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
শনিবার (১১ মে) সকাল ৮ টারদিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গার কৈডুবি সদরদী ও বেলা ১১টার দিকে হামেরদী নামক স্থানে পৃথক এ সড়ক দূর্ঘটনা ঘটে।
হামেরদীর দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, কাশেম শিকদার (৪০) ও তার পুত্র মোরসালিন ( ৮) এবং তার ভাই নাজমুল শিকদার (৩৭)। সকলের বাড়ি গোপালগঞ্জের মোকসুদপুর উপজেলার কোয়ালদিয়া গ্রামে।
অন্যদিকে কৈডুবি সদরদীতে নিহত হন স্কুল ছাত্রী শ্রাবন্তী আক্তার (১৬)। সে ভাঙ্গার খামিনারবাগ এলাকার শাহাদাত হোসেনর মেয়ে।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল বাকি জানান, শনিবার সকালে ফরিদপুর- বরিশাল মহাসড়কে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুই জন।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বেলা ১১টার সময় ভাঙ্গা থেকে মোটরসাইকেল যোগে ফরিদপুর যাচ্ছিলেন পিতা, পুত্র ও আপন ভাই। পথিমধ্যে ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী নামক স্থানে ট্রাকের সাথে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এসময় ঘটনাস্থলে পুত্র মোরসালিন নিহত হয়। এ সময় গুরুত্বর আহত হয় আপন দুই ভাই কাশেম শিকদার ও নাজমুল শিকদার। পরে তাদের দুই ভাইকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাদের ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বেলা ১২টার সময় তাদের দুই ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে, ফরিদপুর-বরিশাল একই সড়কে সকাল ৮টার সময় ভাঙ্গা উপজেলার কৈডুবি সদরদী নামক স্থানে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকের সাথে হানিফ পরিবহনের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে তিনজন যাত্রী গুরুতর আহত হয়। আহতদের ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুরের স্থানান্তর করা হলে সেখানে চিকিৎসা অবস্থায় শ্রাবন্তী নামক একজন স্কুল ছাত্রী নিহত হয়।
এব্যাপারে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আবু সাঈদ মো. খায়রুল আনাম বলেন, দু'টি সড়ক দুর্ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আইএ