ঢাকা: গাজীপুর নগরের ভোগড়া এলাকায় আগুন লেগে তিনটি কলোনির শতাধিক বসতঘর, দোকান ও মালামাল ভস্মীভূত হয়েছে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী উপ পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরিফিন জানান, বুধবার রাত ৩টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯ থেকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পান তারা।
পরে ভোগড়া মডার্ন ফায়ার স্টেশনের তিনটি এবং কোনাবাড়ী মডার্ন ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভাতে কাজ শুরু করেন।
প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান আব্দুল্লাহ আল আরিফিন। তিনি বলেন, “বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডে তিনটি কলোনির বসতঘর ও দোকানপাট পুড়ে গেছে। তবে কেউ হতাহত হননি।”
সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, তিনজন মালিক সারি সারি টিনের ঘর বানিয়ে নিম্ন আয়ের লোকজনকে ভাড়া দিয়েছিলেন। স্থানীয়ভাবে সেগুলো ‘কলোনি’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
কলোনি মালিকরা জানান, স্থানীয় নায়েব আলী মাতব্বর ও তার ভাগ্নে সোলেমান মিয়ার জমিতে তারা ঘর ও দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন, নিজেরাও সেখানে বসবাস করছিলেন।
এক কলোনির মালিক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অগ্নিকাণ্ডে তিনটি দোকানসহ তার ৩১টি বসতঘর ও টিভি ফ্রিজসহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে গেছে। তার ভাষ্য, মোহর আলীর ভাড়া দেওয়া চায়ের দোকান থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় এবং পরে তা দ্রুত আশপাশের কলোনিতে ছড়িয়ে পড়ে।
মোহর আলী বলেন, তার ওই চায়ের দোকানসহ ৩১টি বসতঘর পুড়ে গেছে। কলোনির লোকজন প্রথমে নিজেরা আগুন নেভানোর চেষ্টা চালান। কিন্তু আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকলে ৯৯৯ এ ফোন করে অগ্নিকাণ্ডের খবর জানানো হয়।
আরেক কলোনির মালিক আব্দুর রহমান বলেন, তার ৭০টির মত বসতঘর ও মালামাল পুড়ে গেছে। রাত আড়াইটার দিকে আগুনের সূত্রপাত হলেও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেরি করেছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে ভোগড়া মডার্ন ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. রুহুল আমিন বলেন, এলাকায় পানি সংকটের কারণে আগুন নেভাতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে।
এআর