বরগুনা: বরগুনার বেতাগীতে খালে মাছ ধরতে গিয়ে কিশোরের গলায় আটকে গেছিল বাইন মাছ। অবশেষে মাছটি অস্ত্রপচারের মাধ্যমে বের করা হয়েছে। বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা ৬ ঘন্টা অস্ত্রপচার করে মাছ বের করে করেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বরগুনার বেতাগী সদর ইউনিয়নের কেওড়াবুনিয়া গ্রামের সিদ্দিক জমাদ্দারের ছেলে। ভুক্তভোগী কিশোরের নাম কাইউম। সে বেতাগী ছালিহা মাদ্রাসায় দশম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। বর্তমানে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে চিকিৎসারত কাইউম বলেন, বাড়ির পাশে খালে মাছ ধরতে যায় সে। এসময়ে তার জালে একটি বাইন মাছ ধরা পড়ে। মাছটি জাল থেকে বের করতে গেলে ছুটে যায়। তখন মাছটি ডুব দিয়ে ধরতে গেলে পেটের মধ্যে পানি ঢুকলে মাছটি ঢুকে যায় এবং তার গলায় আটকে যায়। এরপরে সে বাড়ি আসলে পরিবারের লোকজন বেতাগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে সেখানে চিকিৎসাকরা তাকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এ বিষয়ে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক কান গলা বিভাগের চিকিৎসক সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. মিজানুর রহমান বলেন, মাছ ধরতে গিয়ে অসাবধানতাবশত একটি বড় বাইন মাছ রোগীর শ্বাসনালিতে চলে যায়। এতে শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় মৃত্যু ঝুঁকি দেখা দেয় রোগীর। তাকে মুমূর্ষু অবস্থাতেই বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা। পরে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় শ্বাসনালি কেটে বাইন মাছটি কেটে রোগীকে বিপদ মুক্ত করা হয়। রোগী সুস্থ হলে ৭-৮ দিন পর তার শ্বাসনালিতে সাময়িক বসানো টিউবটি রিমুভ করা হবে।
এসআই
আপনার মতামত লিখুন :