শরীয়তপুর: শরীয়তপুর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। এছাড়া ভাঙচুর করা হয়েছে দোকানপাটসহ অর্ধশতাধিক বাড়ি।
মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নের মৃধাকান্দি, বাইশরশি, দক্ষিণ গোয়ালদি এলাকাসহ আড়িগাঁও বাজারে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের জয়-পরাজয় নিয়ে এসব পাল্টাপাল্টি হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা হলেন - নাজমুল শিকদার (৩২), শাহ জালাল খান (৩৫), তারা মল্লিক (২৫), মনির মাদবর (২৮), আকতার সরদার (৩৭), আবুল হাশেম ফকির (৫৫), আক্তার বেপারী (৪২), আতাউর বেপারী (৪২)। আহত ব্যক্তিদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনার পর থেকে তুলাসার ইউনিয়নে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার ফলাফল প্রকাশের পর চশমা প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকবাল হোসেন রতন পরাজিত হন এবং তালা প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শাখাওয়াত হোসেন হাওলাদার বিজয়ী হন। এরপর উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের জেরে দেশীয় অস্ত্র ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পাল্টাপাল্টি হামলা শুরু হয়। রাতভর দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি হামলায় আহত হন আটজন। এছাড়া ভাংচুর করা হয় সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য রোজিনা আক্তারের ঘর, সারের গোডাউন, অটোগ্রেস, পাঁচটি দোকান এবং ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রতনের কয়েকটি দোকানসহ আড়িগাঁও বাজারের বেশ কয়েকটি দোকান। এছাড়া বাদশা ফকির, সোনা মিয়া ফকির, রিপন ফকির, জাব্বার ফকির, রাজ্জাক মোড়ল, অলিল সরদার, ফজলু ফকির, শাহজাহান সরদার, সিরাজ সরদার, আলমগীর সরদার, মফিজ ছৈয়ালের বাড়ি-ঘর ভাংচুর করা হয়।
এ বিষয়ে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম বলেন, সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফলের পর তুলাসার ইউনিয়নে দু’পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এ সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এরপর পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। সেখানে দোকানপাটসহ বেশকিছু বাড়ি-ঘর ভাংচুর হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত আছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অপরাধীদের খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখনও পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।
এমএস