• ঢাকা
  • বুধবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১

দেশের সবচেয়ে কনিষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান রাজশাহীর পপি


রাজশাহী ব্যুরো মে ৩১, ২০২৪, ০৭:১৬ পিএম
দেশের সবচেয়ে কনিষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান রাজশাহীর পপি

রাজশাহী: বাংলাদেশের সবচেয়ে কনিষ্ঠ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন রাজশাহীর পবা উপজেলার ধর্মহাটা গ্রামের ব্যবসায়ী শুকুর আলীর ছোট মেয়ে পপি খাতুন। তিনি প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিয়ে ২৬ ব্ছর ৪ মাস ১৭ দিন বয়সে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

ছাত্রলীগ কর্মী পপি ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে ২৪ হাজার ২৭৯ ভোট পেয়ে রাজশাহীর পবা উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চেন বানু হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ২২ হাজার ১৮ ভোট। চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দেশের সর্বকনিষ্ঠ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তিনি।

বুকে মানবসেবার স্বপ্ন নিয়ে অল্প বয়সেই নির্বাচনের মাঠে নামেন পপি। মানবসেবাই যেন তার লক্ষ্য। যে কারণে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছেন ‘বিডি ক্লিন’সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনে। রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজে অনার্সে পড়াশোনার পাশাপাশি বুটিক ব্যবসার সাথে জড়িত পপি। যা থেকে তার বছরে আয় তিন লাখ টাকা। বেশকিছু মিউজিক ভিডিওতেও অভিনয় করেছেন এই নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান।

পপির সাথে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা অন্য তিন প্রার্থীদের চেয়ে তার বয়স প্রায় অর্ধেকেরও কম। এতো কম বয়সে রাজশাহীতে এখন পর্যন্ত উপজেলা বা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কোনো প্রার্থী অংশগ্রহণও করেন নি। বয়সের দিক থেকে রাজশাহীতে পপি খাতুনই প্রথম। তার সাথে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তারা ছিলেন যেমন প্রবীণ, তেমনি রাজনীতিতে অভিজ্ঞ। বলাই যায়, পপি খাতুন নানি-দাদির সাথে যুদ্ধ করেই মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

তাকে নির্বাচিত করায় পবাবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে পপি বলেন, আমি মানুষের সেবা করতে চাই। আমি নির্বাচনে পুরো পবা উপজেলা পায়ে হেঁটে ভোটের প্রচারণা চালিয়েছি। সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়া এবং ভালোবাসা পেয়েছি। আমি এই মানুষদের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। সুখে-দুঃখে তাদের পাশে থাকতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকার সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চাই। আমি বয়সে সর্বকনিষ্ঠ তাই সবার পরামর্শ নিয়ে কাজ করবো।

আর উপজেলার ভোটাররা বলছেন, আমাদের নব-নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান একজন তরুণ এবং উদ্যোক্তামনা। আর তরুণ উদ্যোক্তাদের হাত ধরেই দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি হচ্ছে। এরাই এখন দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। যে কারণে আমরা তরুণ এ প্রার্থীকে বেছে নিয়েছি। এই জনপদের মানুষের প্রত্যাশা পূরণে তরুণ এই জনপ্রতিনিধি কতটুকু সাফল্য অর্জন করবেন সেটি এখন দেখার বিষয়।

এআর

Wordbridge School
Link copied!